এবার কেন্দ্রের বেসরকারিকরণ নীতির কোপে পড়ল বেঙ্গল কেমিক্যাল, ব্রিজ অ্যান্ড রুফ ও দুর্গাপুর অ্যালয় স্টিল। তিনটি সংস্থায় বিলগ্নীকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বেসরকারি কোম্পানি তিনটি সংস্থা দখল করবে। পাঁচ বছর আগে মোদি সরকার বেসরকারিকরণের যে তালিকা তৈরি করেছিল, তাতে মোট ৩৬ টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে লোকসভায় অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সংস্থার নামগুলি জানানো হয়।
কেন্দ্র জানিয়েছে, ডিপার্টমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ইতিমধ্যেই ১৮টি সরকারি সংস্থার বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিকস, আইটিডিসি এবং বেঙ্গল কেমিক্যালে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক বিনিয়োগ করবে। তবে সাতটি সরকারি সংস্থার আইনি ও অন্য জটিলতায় বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়া থমকে গেলেও হিন্দুস্তান পেট্রলিয়াম, রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন লিমিটেড, এইচএসসিসি (হসপিটাল সার্ভিসেস কনসালটেন্সি কর্পোরেশন), ন্যাশনাল প্রোজেক্টস কনস্ট্রাকশন, ড্রেজিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া, টিএইচডিসি (তেহরি হাইড্রো ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন), নর্থ ইস্টার্ন ইলেকট্রিক পাওয়ার, কামরাজার পোর্ট লিমিটেড বিক্রির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার লোকসভায় সরকার যে তালিকা দিয়েছে, তাতে শুধু আইডিবিআই ব্যাঙ্কের নাম থাকলেও সরকার আরও দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিলগ্নিকরণ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দু’টি বিমা সংস্থারও বিলগ্নিকরণ হবে। এলআইসির শেয়ার বাজারে আনা হবে। আর দ্বিতীয় সংস্থাকে সরাসরি বিক্রি করা হবে।
প্রসঙ্গত, বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে চলতি আর্থিক বছরে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। বিমা, ব্যাঙ্ক এবং সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করলে আয় হবে ১ লক্ষ কোটি টাকা। বাকি ৭৫ হাজার কোটি টাকা আয়ের জন্য কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির ভাবনাচিন্তা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ কেন্দ্রকে জানিয়েছে নীতি আয়োগ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন