বিরোধীদের উপর নজরদারি চালাতে এবার 'কগনাইট' (Cognyte Spyware) নামের নতুন ‘স্পাইওয়্যার সিস্টেম’ কিনছে মোদী সরকার। এজন্য খরচ হবে ৯৮৬ কোটি টাকা। সোমবার, এই দাবি করেছে বিরোধী কংগ্রেস।
পেগাসাস (Pegasus) নিয়ে এখনও বিতর্ক থামেনি। এরই মাঝে নতুন গুপ্তচর প্রযুক্তি ‘স্পাইওয়্যার সিস্টেম’ কিনতে চলেছে মোদী সরকার। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, ‘যেহেতু পেগাসাস কুখ্যাত হয়ে উঠেছে, তাই 'ন্যূনতম শাসন-সর্বোচ্চ নজরদারি' চালাতে নতুন স্পাইওয়্যারের খোঁজ চালিয়ে গেছে সরকার।’
অভিযোগের সুরে এদিন খেরা বলেন, ‘শুধু বিরোধীদের ঘৃণা করা নয়, নিজেদের মন্ত্রীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তির সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেছেন তাঁরা (মোদী-অমিত শাহ)।’
মোদী, শাহের নাম না নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশের ‘দুই গুপ্তচর’ কাউকেই বিশ্বাস করেন না; এমনকি আইন ও মিডিয়াকেও নয়। সে কারণে তারা ‘গুপ্তচর’ সফটওয়্যার এবং ইজরায়েলি প্রযুক্তি কেনার জন্য করদাতাদের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন। তারা এটা করছে, কারণ সম্রাট আশঙ্কা করছেন যে তাঁর মিথ্যার ফাঁপা প্রাসাদ আমাদের সত্যের কাছে ভেঙে পড়তে পারে।’
কংগ্রেসের মুখপাত্র জানান, ‘কগনাইট স্পাইওয়্যার সম্পর্কে অনেকেই খুব একটা অবগত নন। তবে, এটি পেগাসাসের মতো কাজ করে। এ নিয়ে মিডিয়াতেও কম আলোচনা হয়েছে। তবে, এক মার্কিন আইন সংস্থা জানিয়েছে যে, অনৈতিক পদ্ধতিতে বিরোধী দল, বেসরকারি সংস্থা, সাংবাদিক, নাগরিক অধিকারকর্মী, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনকে টার্গেট করে, তাদের সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে Cognyte।‘
কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে খেরা একাধিক প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছ থেকে জানতে চাই, এই কগনাইট সফ্টওয়্যারটি কেনার জন্য কোন মন্ত্রককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? এ জন্য কত খরচ হচ্ছে? কোন যুক্তিতে এই সফ্টওয়্যারটি কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে?’
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রশ্ন ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এর আগে ইজরায়েলী সংস্থা এনএসও'র তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে দেশের বিরোধী নেতা, সমাজকর্মী, সাংবাদিকদের মোবাইলে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন