কেন্দ্রের সাথে ক্ষমতার লড়াইয়ে সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় পেল দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। সুপ্রিম কোর্ট আজ বলেছে, একটি গণতান্ত্রিক সরকারে প্রশাসনের প্রকৃত ক্ষমতা অবশ্যই নির্বাচিত সরকারের উপর থাকা উচিত।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মত রায়ে জানিয়েছে, দিল্লির সমস্ত পরিষেবাগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে সেখানকার নির্বাচিত সরকারের এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর সরকারের সিদ্ধান্তে মেনে চলবে।
আদালত বলেছে, জনগণের ইচ্ছাকে বাস্তাবায়িত করার জন্য আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে দিল্লি বিধানসভাকে। তাই প্রশাসনিক সমস্ত কাজেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় আদেশটি পড়ে শোনানোর সময় বলেন, “যদি একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে তার কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তাদের জবাবদিহি করার অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে আইনসভা এবং জনসাধারণের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা ক্ষীণ হয়ে যায়। যদি একজন সরকারি আধিকারিক সরকারকে তাঁর কাজের ব্যাখ্যা না দেন, তাহলে সম্মিলিত দায়বদ্ধতা হ্রাস পায়। যদি একজন কর্মকর্তা মনে করেন তারা নির্বাচিত সরকারের অংশ নন, তাহলে তাঁরা সরকারকে জবাবদিহি করার প্রয়োজন মনে করবেন না।“
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “যদি কর্মকর্তারা মন্ত্রীদের রিপোর্ট করা বন্ধ করে দেন অর্থাৎ কাজের বিষয়ে না জানান অথবা মন্ত্রীদের নির্দেশনা না মানেন, তাহলে যৌথ দায়িত্বের নীতিই লঙ্ঘিত হয়।“
আদালত জানিয়েছে, পরিষেবার বিষয়ে নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য লেফটেন্যান্ট গভর্নর। তিনি মন্ত্রী পরিষদের সাহায্য করবেন ও পরামর্শ দেবেন।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র মুখ্যমন্ত্রী হবেন, নাকি লেফটেন্যান্ট গভর্নর, যিনি কেন্দ্রে দিল্লির প্রতিনিধিত্ব করেন, তা নিয়ে বহু দিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিগত কয়েক বছরে একাধিক বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই বিতর্ক মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন