প্রাক্তন বিধায়ককে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি কর্মীদের একাংশ। বুধবার আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভোপালে দলের রাজ্য সদর দফতরে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করছিল মধ্যপ্রদেশ বিজেপি। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান ভিডি বর্মা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, অশ্বিনী বৈষ্ণব ও নরেন্দ্র সিং তোমর। সেই প্রশিক্ষণ শিবির চলাকালীনই হাতে পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ দেখান প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী।
বিধানসভা নির্বাচনের এখনও কয়েকমাস দেরি থাকলেও গত সপ্তাহেই বিজেপি সেই নির্বাচনের জন্য ৩৯ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। কিন্তু সেই তালিকায় জায়গা পাননি রাজ্যের দেওয়াস জেলার সোনকচ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক রাজেন্দ্র বর্মা। সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি ২০১৩ সালে জয় পেলেও ২০১৮ সালে কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সজ্জন সিং বর্মার কাছে ১০ হাজারেরও কম ভোটে হারতে হয় বর্মাকে। তাই এবারের প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি তাঁকে। কিন্ত তাঁর অনুগামী তথা সোনকচ কেন্দ্রের শতাধিক বিজেপি কর্মী এদিন প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম সংযোজনের দাবি জানিয়ে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরের সামনে প্রতিবাদ দেখান।
রাজেন্দ্র বর্মার অনুগামীরা এদিন ৪০০টিরও বেশি গাড়ির কনভয় নিয়ে সোনকচ থেকে ভোপালে আসেন। তাঁদের মধ্যে একেবারে বুথ পর্যায়ের কর্মী থেকে শুরু করে ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতারাও। প্রসঙ্গত, রাজেন্দ্র বর্মার জায়গায় ওই সোনকচ কেন্দ্র থেকে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে রাজেশ সোনকারকে। যদিও ওই সোনকচ কেন্দ্রটি কংগ্রেসের কাছেও একটি শক্ত ঘাঁটি। ১৯৮৫ সাল থেকে মোট চারবার ওই কেন্দ্র দখল করেছে কংগ্রেস, যেখানে বিজেপি জিতেছে তিনবার।
তবে এই রাজেন্দ্র বর্মাকে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সোনকচ ছাড়াও মহারাজপুর, ছত্তরপুর, বান্দা, সুমাওয়ালি, সবলগড়, লাঞ্জি-সহ একাধিক কেন্দ্রের প্রভাবশালী বিজেপি নেতাদের নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে মধ্যপ্রদেশ বিজেপি ও কর্মীদের একাংশের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন