পুলিশি পাহারা, কাঁটাতারের বেড়া, রাস্তার ওপর গজাল-পেরেক, কয়েকস্তরীয় কংক্রিটের ব্যারিকেড তো আগেই ছিলই, এবার তার সাথে যুক্ত হলো ৫০ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী এবং প্রচুর পরিমাণে জলকামান। 'চাক্কা জ্যাম' কর্মসূচিতে আন্দোলনরত কৃষকরা যাতে কোনোভাবেই রাজধানীতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য এই বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে দিল্লি পুলিশ।
আজ বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত দেশজুড়ে চাক্কা জ্যামের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। অর্থাৎ তিনঘন্টার জন্য দেশের সমস্ত জাতীয় ও রাজ্য সড়ক অবরোধ করবেন কৃষকরা। এই কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ করাই লক্ষ্য কৃষক নেতাদের। প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে যে হিংসা ছড়িয়েছিল সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকাতে চাক্কা জ্যাম করা হবে না বলে জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। যদিও কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, দিল্লির পাশাপাশি যদিও উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশেও এই কর্মসূচি পালন করা হবে না।
গতকাল রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, "আগামীকাল উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের কোনো রাস্তা অবরোধ করা হবে না। কারণ এই জায়গাগুলোতে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে কিছু বাইরের লোক। দিল্লি ছাড়া দেশের বাকি সমস্ত রাস্তা অবরোধ করা হবে। আলোচনার জন্য যে কোনো সময় দিল্লি থেকে ডাক আসতে পারে। তাই রাজধানীর রাস্তা খোলা রাখতে হবে।"
কৃষকদের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির জন্য রাজধানীতে অতিরিক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো দিল্লি-এনসিআর এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ, আধাসামরিক ও রিজার্ভ ফোর্সের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনস্থলগুলির আশেপাশে আরো শক্তিশালী ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে। গাজীপুর সীমান্তে প্রচুর জলকামান মোতায়েন করা হয়েছে। লাল কেল্লার ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। ১২টি মেট্রো স্টেশনে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ওপরেও বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। এমনকি অন্যান্য রাজ্যের পুলিশের সাথেও যোগাযোগ রাখছে দিল্লি পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন