সমস্ত জল্পনার অবসান। হেমন্ত সোরেনের ইস্তফার পর ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হলেন চম্পাই সোরেন। শুক্রবার রাঁচির রাজভবনে শপথ গ্রহণ করেন তিনি।
ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন বৃহস্পতিবার রাতেই চম্পাই সোরেনকে শপথের জন্য আমন্ত্রণ জানান। রাজ্যপালের বার্তা পেয়েই শপথ গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেন চম্পাই। তাঁর সমর্থনের থাকা বিধায়কদের নিয়ে শুক্রবার সকালে রাজভবনে পৌঁছে যান চম্পাই।
এই শপথ গ্রহণের ১০ দিনের মধ্যেই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে চম্পাইকে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বর্ষীয়ান নেতা চম্পাই অবশ্য নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবো।
চম্পাই দাবি করেছেন, তাঁর সমর্থনে ৪৩ জন বিধায়ক রয়েছে। ৮০ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ডে ম্যাজিক ফিগার ৪১।
তবে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে 'ঘোড়া কেনা বেচা' রুখতে চম্পাইয়ের সমর্থনে থাকা সমস্ত বিধায়কদের তেলেঙ্গানার উদ্দেশ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই বিমানে করে তাঁদের সেখানে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম হওয়ায় ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাঁচিতে নিজের বাসভবনে জেএমএম-র বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন হেমন্ত। সেখানে নিজের স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেন বলেই বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। কিন্তু তাতে তাঁর বৌদি সীতা সোরেন সহ চার বিধায়ক আপত্তি জানান। এরপর চম্পাই সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন