চণ্ডীগড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বহুল প্রতীক্ষিত মেয়র নির্বাচন ছিল বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ। কিন্তু সেই নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। কারণ হিসাবে জানা গেছে – নির্বাচন পরিচালনার জন্য মনোনীত প্রিসাইডিং অফিসার ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়েছেন। যদিও আপ ও কগ্রেসের কাউন্সিলররা এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁরা নির্বাচন স্থগিত হওয়ার ঘটনাকে ‘বিজেপির চক্রান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।
তাদের দাবি – নির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হবে, তাই বিরোধী জোটকে ভয় পাচ্ছে তারা। আপ ও কংগ্রেসের বিধায়করা চণ্ডীগড় পুরসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ পবন কুমার বনসাল বলেন, “বিজেপি জানতো যে তারা হারবে। এই কারণেই তারা এই কৌশল খেলেছে। তারা যদি সত্যি নির্বাচন চাইতো, তাহলে একজন অসুস্থ প্রিসাইডিং অফিসারের পরিবর্তে অবিলম্বে অন্য একজন প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ করতো।”
ঘটনাস্থলে পৌঁছে আপ নেতা ও সাংসদ রাঘব চাড্ডাও এই পদক্ষেপকে বিজেপির কৌশল বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন - “আমরা এখন হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়ব। আমরা আদালত থেকে ন্যায়বিচার চাইবো। শুধু দেখুন এই ছোট নির্বাচনে, বিজেপি আমাদের জোট নিয়ে এত ভয় পাচ্ছে। তাহলে জাতীয় স্তরে জোট হলে কী হবে!”
বৃহস্পতিবার মিউসিপ্যাল কর্পোরেশন অফিসে কাউন্সিলরদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। কংগ্রেস নেতা পবন কুমার বনশল বলেন, আমাদের আজকেই জানানো হয়েছে যে নির্বাচন হবেনা কারণ প্রিসাইডিং অফিসার অসুস্থ। নির্বাচনের পরবর্তী দিনও জানানো হয়নি।
চণ্ডীগড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্বাচনে আপ ও কংগ্রেসের মধ্যে জোট হয়েছে। পাঞ্জাবে আপ ও কংগ্রেসের জোটের সম্ভাবনা না থাকলেও চণ্ডীগড় পুরসভার ভোটে বিজেপিকে হারাতে এক জায়গায় এসেছে দুই যুযুধান দল। দুই দলের সমঝোতা অনুসারে মেয়র পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে আপ এবং সিনিয়র ডেপুটি মেয়র ও ডেপুটি মেয়র পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কংগ্রেস।
বর্তমানে ৩৫ সদস্যের চন্ডীগড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে বিজেপির ১৪ জন কাউন্সিলর আছে। অন্যদিকে আপ-এর ১৩ এবং কংগ্রেসের ৭ কাউন্সিলর আছে। শিরোমণি আকালি দলের আছে ১ কাউন্সিলর। এই নির্বাচনে এক্স অফিসিও মেম্বার হিসেবে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ কিরণ খের-এরও ভোটাধিকার আছে।
২০২১ সালের নির্বাচনে ৩৫টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসনে জয়লাভ করে আপ। ১২ আসনে জিতে দ্বিতীয় হয় বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছিল ৮টি আসন, এবং শিরোমনি অকালি দল জয়লাভ করে একটি আসনে। মেয়র ও ডেপুটি মেয়র পদের নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর যোগ দেন বিজেপিতে। অন্যদিকে, আপের এক কাউন্সিলরের ভোট বাতিল হয়। ফলে মেয়র পদে বিজেপি জিতে যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন