কৃষকদের প্রবল চাপে তিন “কৃষি আইন” প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকদের কাছে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৃষকদের প্রায় সব দাবিই মেনে নিয়েছিল কেন্দ্র। এরপর যথারীতি কৃষকরা আন্দোলন স্থল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। কিন্তু সম্পতি কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের মন্তব্যে আবার জল্পনা শুরু হয়েছে।
তবে কী সামনে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব সহ পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে কিছুটা পিছু হটেছে কেন্দ্র? ভোটের পরেই কী আবার কৃষি আইন লাগু করতে উদ্যোগী হবে কেন্দ্র? এমনই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী দাবি করেন পরবর্তী কালে পুনরায় কৃষি আইনগুলি কার্যকর হতে পারে। তিনি বলেন – “আমরা কৃষি সংশোধনী আইন নিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু মানুষ এই আইনগুলি পছন্দ করেননি। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি বড় সংস্কার ছিল এই তিনটি আইন।” অনুষ্ঠানে তিনি এও বলেন চাপের মুখে সরকার এক ধাপ পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরবর্তী কালে সরকার এই কৃষি আইনগুলি নিয়ে কেন্দ্র আবার অগ্রসর হবে।
প্রসঙ্গত, কৃষি আইন বাতিল করার জন্য সংসদে বিল পাশের দু'দিন আগে সরকারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল - তিন কৃষি আইন সমস্ত কৃষকদের ভালোর জন্য আনা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র কয়েকজন কৃষক এই আইনগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তা বাস্তবায়িত করতে দিল না। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও ‘কিছু কৃষকের বিরোধিতার কারণে’ কথাটি একাধিকবার উঠে এসেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন