বোম্বে হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেলেন এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী ছগন ভুজবল। বেনামি অ্যাক্টের অধীনে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি আর্থিক তছরুপের মামলায় ভুজবল ও তাঁর পরিবারের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইডি।
২০০৮-০৯ অর্থবর্ষ এবং ২০১০-২০১১ অর্থবর্ষে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল ছগন ভুজবলের সংস্থা আর্মস্ট্রং ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে। আয়কর দপ্তরের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছিলেন ওই সংস্থার মাধ্যমে এনসিপি নেতার সম্পত্তি অবৈধভাবে বিপুল বৃদ্ধি পেয়েছিল। তদন্তও শুরু হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট বেনামি আইনের অধীনে মামলাটি খারিজ করে দেয়।
বিচারপতি আর এন লাড্ডার বেঞ্চ জানায়, যেহেতু আর্থিক লেনদেনটি হয়েছিল ২০১৬ সালের আগে তাই বেনামি আইন প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। ফলে মামলাটির কোনো গ্রহণযোগ্যতাই থাকলো না।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার একাধিক বিধায়ককে সাথে নিয়ে বিজেপি-শিন্ডে সরকারে যোগ দেয়। সেই দলে ছিলেন ছগন ভুজবলও। রাজ্যের মন্ত্রী করা হয় তাঁকে। এরপরই আচমকা আর্থিক তছরুপ মামলায় বয়ান বদলে যায় ইডির।
ভুজবলের আইনজীবী আবাদ পন্ডা, সজল যাদব এবং সুদর্শন খাওয়াসে আদালতের সামনে ২০১৬ বেনামি অ্যাক্টের পক্ষে জোর সওয়াল করেন। তাঁরা জানান, ২০১৬ সালে বেনামি আইনটি সংশোধন করা হয়েছিল। তাই পুরনো আইন প্রয়োগ করলে তা সংবিধান বহির্ভূত হবে এবং আইনসভাকে অসম্মান করা হবে।
২০১৬ সালে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ভুজবল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ২০১৮ সালে জামিনে মুক্ত হন। তারপর থেকেই বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইডি। তবে বোম্বে হাইকোর্টে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।
ছগন ভুজবালের ভাইপো সমীর ভুজবালের বিরুদ্ধেও মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইডি। তবে ছগনের ছেলে পঙ্কজের বিরুদ্ধে পিটিশন এখনও সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন