পুলিশ ক্যাম্প তোলার দাবিতে এখনও বিক্ষোভে অনড় ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার সিলগার গ্রামের অধিবাসীরা। গত ১৭ মে গ্রামের সিআরপিএফ ক্যাম্পে নিরাপত্তা রক্ষী ও মাওবাদীদের গুলির লড়াই চলাকালীন এক গর্ভবতী মহিলা সহ চার গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই ক্যাম্প তোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। পুলিশের সন্দেহ, এই বিক্ষোভের পিছনে মাওবাদীদের হাত রয়েছে।
এরই মাঝে মঙ্গলবার গুলি চালানোর ঘটনা এবং তার পরবর্তী গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ নিয়ে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য বস্তারের সাংসদ দীপক বেইজের নেতৃত্বে জনপ্রতিনিধিদের একটি কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। কমিটিতে উপজাতি নেতা লক্ষেশ্বর বাঘেলও রয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলার পরে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি।
পুলিশ ক্যাম্প না সরানো পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পাথর দিয়ে সৌধ গড়েছেন তাঁরা। যদিও পুলিশের অভিযোগ, এই বিক্ষোভের পেছনে মাওবাদীদের হাত রয়েছে। প্রতিবাদস্থানে ১৭ জন বহিরাগত রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। গ্রামে অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্তারের আইজি।
অন্যদিকে দৈনিক ভাস্করে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে ছত্তিশগড়ের সুকনা এবং মহারাষ্ট্রের গড়চিড়ৌলী অঞ্চলে আগামী ৫ জুন মাওবাদীদের ডাকে পুলিশ ক্যাম্প তোলার দাবীতে এক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদন জানানো হয়েছে পুলিসি আক্রমণে স্থানীয় ৩৮টি গ্রামের ২৯৬ জন আদিবাসী আহত হয়েছেন, যাঁদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
এই ঘটনায় সর্ব আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে এবং ৪ পাতার এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনে। ইতিমধ্যেই ওই রিপোর্ট এক স্মারকলিপি সহ ডিভিশনাল কমিশনারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর স্থানীয় এসপি-র অনুরোধে সুকমার কালেক্টর এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন