সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় ফুঁসছে কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়। সম্প্রতি, বেমেতারা হিংসার ঘটনায় মুসলিম ও খ্রিস্টানদের দায়ী করে 'আর্থিক বয়কট'-র ডাক দিয়েছে কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন- বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। যা ঘিরে রাজ্যে নতুন করে অশান্তি আশঙ্কা বাড়ছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে, কোনও মামলা রুজু করেনি প্রশাসন।
জাতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, গত ৮ এপ্রিল বেমেতারা জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটে। এরপরে, ১০ এপ্রিল, জগদলপুরে সভা করে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের অর্থনৈতিক বয়কটের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন BJP-র একাধিক নেতা-নেত্রী। অন্যদিকে, এই প্রতিবাদ ও বয়কটকে সমর্থন জানিয়েছে আরেক কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন- বজরং দল।
জানা যাচ্ছে, হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন বস্তারের প্রাক্তন BJP সাংসদ দীনেশ কাশ্যপ (Dinesh Kashyap) ও রাজনীতিবিদ কমল চন্দ্র ভাঞ্জদেও (Kamal Chandra Bhanjdeo)।
VHP-র বয়কট সংক্রান্ত ভাষণের ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কীভাবে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের বয়কট করতে হবে, সেই রূপরেখা স্পষ্ট করা হয়েছে এদিন। দ্য হিন্দু জানিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য মুকেশ চন্দক হিন্দু ব্যবসায়ীদের তাঁদের দোকানের সামনে সাইনবোর্ড লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সেখানে তাঁরা যে হিন্দু, সেটি স্পষ্ট করতে বলেছেন ওই কট্টরপন্থী নেতা।
অন্যদিকে এই ইস্যুতে পদ্ম শিবিরের কড়া সমালোচনা করেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। 'লাভ জেহাদ'-র নামে BJP পরিকল্পিতভাবে অশান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ৮ এপ্রিল, দুই কিশোরের মধ্যে মারামারিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ছত্তিশগড়ের বেমেতারা। এই ঘটনায় প্রাণ হারান ২৩ বছরের ভুনেশ্বর সাহু নামে এক দিন মজুর। এই অশান্তি ছড়ানো ও খুনের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ছত্তিশগড় পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন