বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই রাজ্যসভায় পাশ হল নির্বাচন কমিশনে (ইসিআই) তিন সদস্য নিয়োগের বিtতর্কিত বিল। এই বিলের মাধ্যমে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। কার্যত সরকারের হাতেই রাখা হল নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা।
চলতি বছরের ১০ আগস্ট ‘চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড আদার ইলেকশন কমিশনারস’ (অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কন্ডিশনস অফ সার্ভিসেস অ্যান্ড টার্মস অফ অফিস) বিল পেশ হয় রাজ্যসভায়। এরপর তা বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়। মঙ্গলবার উচ্চকক্ষে বিলটি পাশের জন্য পেশ করেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।
বিল পেশের পর আইনমন্ত্রী বলেন, আগে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন ছিল, তাতে বেশ কিছু ফাঁকফোকর ছিল। সেই খামতি দূর করতেই নতুন বিল আনা হয়েছে।
নতুন এই বিল অনুযায়ী, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সিলেকশন কমিটিতে এবার থেকে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। আগে এই কমিটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রধান বিচারপতি এবং বিরোধী দলনেতা।
পাশাপাশি যে সার্চ কমিটির প্যানেল কমিশনারদের জন্য নাম বাছবেন, সেই সার্চ কমিটি তৈরি করবেন আইনমন্ত্রী। আইনমন্ত্রীর পছন্দের তিন সদস্যের কমিটি সম্ভাব্য নির্বাচন কমিশনাদের নাম ঠিক করবেন। আগে ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হত।
এই বিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, সিলেকশন কমিটির তিনজনের মধ্যে দুজনই সরকার পক্ষের, তাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা শাসকদলের হাতেই থাকবে। লোকসভা ভোটের আগে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই বেআইনি বিল পাস করা হয়েছে।
এই অভিযোগ তুলে অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধী সাংসদরা। সেই সময় ধ্বনী ভোটের মাধ্যমে পাস করা হয় গুরুত্বপূর্ণ এই বিল।
এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই কমিটির সদস্য হিসাবে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ছিল বিরোধী দলগুলি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন