ভারতের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত (U.U.Lalit) মঙ্গলবার তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (D.Y.Chandrachud)-র নাম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন। ইতিমধ্যেই সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
প্রধান বিচারপতি তাঁর সুপারিশের চিঠির একটি প্রতিলিপি বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের কাছে হস্তান্তর করেছেন। যিনি চলতি বছরের ৯ নভেম্বর ভারতের ৫০ তম প্রধান বিচারপতির পদে বসতে চলেছেন। নয়া দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সহ বিএ পাশ করার পর বিচারপতি চন্দ্রচূড় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ল সেন্টার থেকে এলএলবি পাশ করেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড ল স্কুল, ইউএসএ থেকে এলএলএম ডিগ্রি এবং জুরিডিকাল সায়েন্সে (এসজেডি) ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর তিনি দীর্ঘদিন সুপ্রিম কোর্ট এবং বম্বে হাইকোর্টে আইন অনুশীলন করেছিলেন এবং মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক আইনের ভিজিটিং অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৯৮ সালে বম্বে হাইকোর্ট তাঁকে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে মনোনীত করে। এরপর বিচারক হিসাবে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি একই বছরে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ছিলেন।
২০০০ সালের ২৯ মার্চ থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি না হওয়া পর্যন্ত তিনি বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ২০১৬ সালের ১৩ মে তিনি সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি হিসেবে উন্নীত হন।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বিষ্ণু চন্দ্রচূড়ের পুত্র। যিনি ১৯৭৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদী সময় পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।
চলতি বছরের ৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন বিচারপতি ললিত। সেই কারণেই উত্তরাধিকারীর নাম সুপারিশ করার জন্য গত ৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তাঁর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা অবসর নেন ৬৫ বছর বয়সে। সেই নিয়ম অনুযায়ী সিজেআই হিসেবে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মেয়াদ থাকবে দুই বছর। ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর তাঁর অবসর নেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আদালতের উচ্চতর বিভাগে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া পরিচালনা হয় মেমোরেন্ডাম অফ প্রসিডিওর (MOP)-র মাধ্যমে। আইনমন্ত্রকের সংকেত পাওয়ার পর প্রধান বিচারপতি তাঁর পরবর্তী উত্তরাধিকারীর নামকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন