বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা সরকারের কাছে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের (U U Lalit) নাম সুপারিশ করেছেন। বিচারপতি রমনা ২৬শে আগস্ট অবসর নেবেন তাই তার আগেই রমনার উত্তরসূরির নামের সুপারিশ চেয়ে চিফ জাস্টিস অফ ইন্ডিয়া (CJI)-কে চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠির জবাবেই বিচারপতি ললিতের নাম সুপারিশ করেন তিনি।
ভারতের আইনি প্রথা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে প্রবীন বিচারপতি CJI পদে বসেন। সেই মতো ললিতই হলেন রমানার পর সবচেয়ে প্রবীন বিচারপতি। বিচারপতি ইউ. ইউ. ললিত আগামী ২৭ শে আগস্ট ভারতের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসেবে শপথ নেবেন। তবে সেই পদে তাঁর মাত্র ৭৪ দিনের সংক্ষিপ্ত মেয়াদ হবে। নিয়মানুযায়ী বিচারপতি ললিত ৮ ই নভেম্বর অবসর নেবেন। তারপরে বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (D.Y. Chandrachud) ভারতের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হবেন।
উল্লেখ্য, বিচারপতি ললিতই হবেন দ্বিতীয় CJI, যিনি BAR থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে যাবেন। BAR থেকে মনোনীত প্রথম বিচারপতি ছিলেন সারভ মিত্ত্রা সিকরি (S.M Sikri)। যিনি ১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে ১৩ তম CJI হয়েছিলেন।
বিচারপতি ললিতের জন্ম ১৯৫৭ সালের ৯ ই নভেম্বর। ১৯৮৩ সালের জুন মাসে তিনি একজন আইনজীবী হিসাবে নথিভুক্ত হন তিনি। ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি বোম্বে হাইকোর্টে অনুশীলন করেন। পরবর্তীতে তিনি দিল্লি আসেন ও সুপ্রিম কোর্ট ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে ললিতকে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে মনোনীত করে। বডি অফ লইয়ার (BAR) অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ললিতকে বিচারপতি করার সুপারিশ করেছিল। এছাড়াও সিবিআই-এর হয়ে টুজি স্পেক্ট্রাম মামলায় তিনি স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ১৩ অগস্ট ললিতকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ললিতের বাবা বিচারপতি ইউ.আর ললিত ছিলেন একজন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এবং দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি।
বিচারপতি ললিত সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের অংশ ছিলেন। সেই বেঞ্চ তিন তালাককে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিল। এছাড়াও তিনি অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছিলেন এবং বাবরি ধ্বংস সংক্রান্ত একটি মামলায়ও তিনি ছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন