নাগাল্যান্ডে ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। উত্তাল হয়েছে সংসদও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুঃখপ্রকাশ করেও ভুল বোঝাবুঝি, আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে সেনার গুলি করার বিষয়টি উলেখ করেছেন। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়ে কেন্দ্রকেই নিশানা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও।
তাঁর অভিযোগ, নাগাল্যান্ডকে অশান্ত করে আফস্পার মেয়াদ বৃদ্ধিই উদ্দেশ্য মোদি সরকারের। তিনি বলেন, নাগাল্যান্ডের মানুষ আফস্পা নয়, শান্তি চান। তাই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আফস্পা প্রত্যাহার করতে হবে।
এদিন আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাঙমা টুইট করে বলেন, আফস্পার জন্যই উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি অশান্ত। দুই মুখ্যমন্ত্রীর দলই বিজেপির শরিক। ফলে তাঁদের দাবিতে অস্বস্তিতে মোদি-শাহ।
আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে মণিপুরে বিভিন্ন আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। আফস্পার প্রতিবাদে মণিপুরের শর্মিলা চানু টানা চোদ্দ বছর অনশন করেছেন। বাম আমলে একমাত্র ত্রিপুরায় আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু বাকি রাজ্যগুলোতে ৬ মাস পরপর তা জারি হয়।
এই আইনকে হাতিয়ার করে মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটানো হয়, এমন অভিযোগ। নিহত গ্রামবাসীদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও কেন্দ্রকে দায়ী করে বলেন, আমাকে দু'বার ফোন করেছেন অমিত শাহ। আমি তাঁকে বলেছি, নাগাল্যান্ডকে অশান্ত করছে আপনার সরকারের নীতি। আপনার সেনারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। শাহ ‘ভুল হয়েছে’ বলে ফোন রেখে দেন।
রিও কেন্দ্র ও একাংশ মিডিয়ার সমালোচনা করে বলেন, রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনী একতরফাভাবে চুক্তি ভাঙছে। নির্দোষ মানুষদের হত্যা করছে। নিহতরা উগ্রপন্থী না সাধারণ মানুষ, তা খোঁজ নিচ্ছে না মিডিয়াগুলি।
তিনি বলেন, বারবার বলার পরও আফস্পা তুলে নিতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলে নাগাল্যান্ড ‘উপদ্রুত’ এলাকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন