ভারতের তৈরী জিনিসপত্র ব্যবহার নিয়ে বারবার সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিটি নির্বাচনের সময় বারবার ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এই ট্যাগ লাইন ব্যবহার করতে দেখা গেছে নরেন্দ্র মোদীকে। কিন্তু এবার তার উল্টো প্রতিফল ঘটতে দেখা গেল। ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের’ প্রায় ৩৯ হাজার চাকা তৈরীর বরাত দেওয়া হল এক চীনা সংস্থাকে। আর এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ভারত সরকারের রেলমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে ‘বন্দে ভারত’ ট্রেনগুলির চাকা বানানোর জন্য ১৭০ কোটি টাকার বরাত দেওয়া হয় এক চীনা কোম্পানিকে। গত এপ্রিল মাসে টেন্ডারটি ডাকা হয়। আর মে মাসে তা যায় চীনা সংস্থা টিজেড হংকং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ঝুলিতে। এই বরাতের খবর শুনে নরেন্দ্র মোদীর কড়া সমালোচনা করে কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কার্যত দ্বিচারিতা করছে, একদিকে ভারত সরকার বলছে চীনা প্রোডাক্ট, চীনা অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। আবার অন্যদিকে সেই চীনা কোম্পানির দিকে ব্যবসার ক্ষেত্রে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারাও নরেন্দ্র মোদীর দিকে আঙুল তুলেছে। তাদের দাবি ব্যবসায়িক লাভের কারণেই প্রধানমন্ত্রী চীনের আগ্রাসন নিয়ে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন না। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য অন্যান্য দেশগুলি থেকে চাকা আমদানি করা সম্ভব না হওয়াতে ঐ চীনা সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্যাংগং লেকের ওপর চীন আবার সেতু নির্মাণ করছে তা উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এর কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, ২০১৯ সালে এই ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের’ পরিষেবা শুরু হয়। এই ট্রেনগুলির বিশেষত্ব হল এর সিট গুলো প্রয়োজন মতো ঘোরানো যায়। এটি ঘন্টায় ২০০ কিমি বেগে ছুটতে পারলেও ভারতে তা ছোটে ঘন্টায় ১২০-১৩০কিমি বেগে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর ২০২৬ সালের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে আরও ৪০০ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন