বৃহস্পতিবার, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্পষ্ট জানিয়েছেন, কেরালা সরকার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করবে না।
বৃহস্পতিবার কেরালায় বাম সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় পিনারাই বলেন, "নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) সম্পর্কে কেরালা সরকারের একটি স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে।"
তাঁর কথায় - "আমাদের দেশ ভারতের সংবিধানে উল্লেখিত ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিতে কাজ করে। আজকাল ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর লোকেরা এটি নিয়ে খুবই তৎপর। সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষ ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করছিল। কেরালা সরকার এই ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।"
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, "মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু সমীক্ষা করা হচ্ছে। আর আমাদের এখানে সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারকে চিহ্নিত করতে সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই সমীক্ষার অংশ হিসেবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
এলডিএফ সরকারের প্রথম বর্ষপুর্তি উদযাপনে বক্তৃতা করার সময়, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন পুনরায় উল্লেখ করেছেন যে, "কেরালা রাজ্য নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন প্রয়োগ করবে না। রাজ্য সরকার দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে যে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা হবে না।"
গত মাসে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শিলিগুড়িতে এসে বলেছিলেন যে COVID-19 মহামারী শেষ হয়ে গেলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি কার্যকর করা হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কোভিড-১৯ পুরোপুরিভাবে শেষ হওয়ার মুহূর্তে আমরা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ) প্রয়োগ করব।"
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯ যা ভারতের সংসদে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর-এ পাস হয়েছিল। কিন্তু সেটি এখনও কার্যকর করা হয়নি। যার প্রধান লক্ষ্য হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিকত্ব প্রদান করা। যারা আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন