চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর মতে চণ্ডীগড়ে 'গণতন্ত্রের হত্যা' করেছেন প্রিসাইডিং অফিসার।
চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, "এইভাবে কোনো নির্বাচন আয়োজন করা হয়? যা হয়েছে তা গণতন্ত্রের উপহাস হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। আমরা কিছুতেই গণতন্ত্রের হত্যা হতে দিতে পারি না"।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, শীর্ষ আদালতের পরবর্তী শুনানি না পর্যন্ত চণ্ডীগড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পরবর্তী বৈঠক স্থগিত থাকবে। যেটি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল।
পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানায়, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনের পুরো রেকর্ড আদালতে জমা দিয়েছেন। ওই রেকর্ড ডেপুটি কমিশনারকে দেওয়া হবে। ডেপুটি কমিশনার পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে সেই রেকর্ড হস্তান্তর করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচন। আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস অভিযোগ করে, সেই নির্বাচনে ৩৬টি ভোটের মধ্যে জোট প্রার্থী কুলদীপ সিং পান ২০টি ভোট এবং বিজেপি প্রার্থীর ঝুলিতে যায় ১৬টি ভোট। কিন্তু তারপরই দেখা যায় কংগ্রেস ও আপ জোটের প্রার্থীর ৮টি ভোট বাতিল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফলে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালও এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, "চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে প্রকাশ্য দিবালোকে যেভাবে বেইমানি করা হয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মেয়র নির্বাচনে এই মানুষগুলো যদি এতটা নীচে নামতে পারে, তাহলে দেশের নির্বাচনে তারা যেকোনও পর্যায়ে যেতে পারে। এটা খুবই উদ্বেগজনক"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন