বৃহস্পতিবার ভোররাতে হিমাচল প্রদেশের তিনটি পৃথক জায়গায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির খবর মিলেছে। এর ফলে ইতিমধ্যেই দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ অন্তত ৫০ জন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। হিমাচল প্রদেশের সিমলা, মান্ডি এবং কুলুতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকায় রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিমলা জেলার রামপুরের কাছে সামেজখড় এলাকাতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে নিখোঁজ অন্তত ২০ জন। তাঁদের খোঁজে শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান। সিমলার ডেপুটি কমিশনার অনুপম কাশ্যপ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। তবে বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হয়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে উদ্ধারকার্যে ব্যাঘাত ঘটছে।
সিমলা থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মান্ডিতেও আজ সকালে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর মিলেছে। সেখানে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। মান্ডির জেলা প্রশাসক অপূর্ব দেবগন জানিয়েছেন, মুহাল তেরংয়ের কাছে রাজবন গ্রামে মেঘ বৃষ্টির ফলে ভূমিধস হয়েছে। যার ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই এলাকার স্কুল, কলেজ।
বৃষ্টির ফলে প্রভাবিত হয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরাখণ্ডও। তেহরি গাড়ওয়াল জেলার জাখানিয়ালিতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও একজন আহত হয়েছে। মৃতদের নাম ভানু প্রসাদ (৫০) এবং অনিতা দেবী (৪৫)। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলার একজন জানিয়েছেন, গতরাতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে তিনজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছেন।
অন্যদিকে, হরিদ্বারে ভারী বৃষ্টিপাতের পরে একটি জরাজীর্ণ বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে দু'জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং নয়জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃতদের নাম আস মহম্মদ (১০) এবং নাগমা (৮)। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ধীরাজ সিং গারবিয়াল জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারা সকলেই সুস্থ আছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন