যেকোনো গণধর্ষণ মামলায় ধর্ষিতাকে দেওয়া ক্ষতিপূরণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন বিলকিস বানো। দোষীকে দেওয়া আগাম জামিন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন দোষীর আইনজীবী সোনিয়া মাথুর।
কোনও এক মামলায় প্রমাণিত দোষীকে আদালতের পক্ষ থেকে একবার দিয়ে দেওয়া আগাম জামিন আর কোনওভাবেই বাতিল করা যায় না, শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগারথানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে এই বিষয়ে বলতে গিয়েই বিলকিসের প্রসঙ্গ তোলেন মাথুর।
এদিন আইনজীবী সোনিয়া মাথুর তার মক্কেলের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আদালতকে জানান যে তার মক্কেল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আদালতই তাকে এই মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু এই জামিনে মুক্তি আদালত তাকে দান-ভিক্ষা হিসেবে দেননি, তিনি এই মুক্তি ‘অর্জন’ করেছেন। সেই নিয়ে বলতে গিয়েই এদিন আইনজীবী মাথুর বলেন, বিলকিস বানোকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে সেটা যেকোনো গণধর্ষণ মামলায় ধর্ষিতাকে দেওয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে ২১ বছর বয়সে নজিরবিহীন গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন গুজরাতের বাসিন্দা বিলকিস বানো। ২০১৯ সালে এই মামলার রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গুজরাত সরকারকে কড়া নির্দেশ দেয়, বিলকিস বানোকে সরকারের তরফে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, সঙ্গে দিতে হবে রাজ্য সরকারি চাকরি। এছাড়াও বিলকিসের পছন্দের জায়গায় গুজরাত সরকারের তরফে বাসস্থান করে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, বিলকিস বানোর ঘটনাটি স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশি আলাদাভাবে দেখতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, বিলকিস বানোর ঘটনায় ক্ষতি ও কষ্ট স্বাভাবিকের ঘটনার চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন