বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের বিষয়ে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রসঙ্গে সরকারের নীরবতাই সবকিছু প্রকট করে দিয়েছে। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করে একথা বললেন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। তাঁর অভিযোগ জাতীয় সুরক্ষার সাথে 'পুরোপুরি সমঝোতা' করা হয়েছে।
ভার্চুয়াল বৈঠকে সনিয়া গান্ধী বলেন, "জাতীয় নিরাপত্তার সাথে ঠিক কোন পর্যায়ে সমঝোতা করা যায়, খুব সম্প্রতি সেই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিছুদিন আগে অ্যান্টনিজী (প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি) বলেছিলেন সামরিক অভিযানের সরকারী গোপনীয়তা ফাঁসের অর্থ বিশ্বাসঘাতকতা। যা প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে সরকার পক্ষের নীরবতাই সবকিছু প্রকট করে দিয়েছে ... যারা অন্যদের দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের শংসাপত্র দেয় তাদের আসল চরিত্র এখন সকলের সামনে উন্মুক্ত।"
টিআরপি জালিয়াতি মামলার তদন্তে নেমে রিপাবলিক টিভির সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে রেটিং এজেন্সি বিএআরসি-র প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হাতে পায় মুম্বাই পুলিশ। এই চ্যাটে দেখা যাচ্ছে বালাকোট হামলার তিনদিন আগে অর্ণব গোস্বামী বলছেন, "এবার একটা বড় কিছু হবে, যা সাধারণ অভিযানের থেকে বড়।" এবং "সরকার আত্মবিশ্বাসী যে পাকিস্তানের ওপর হামলায় মানুষ উৎফুল্ল হয়ে উঠবে", যা নির্বাচনে তাদের জয়ের পথ আরো মসৃণ করবে।
আজকের বৈঠকে কৃষক আন্দোলন নিয়েও সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গেছে সনিয়া গান্ধীকে। তিনি বলেন, "কৃষকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে এবং সরকার পরামর্শের নাম করে লোকদেখানো সংবেদনশীলতা এবং অহংকার প্রদর্শন করছে।... এটা খুব স্পষ্ট যে এই তিনটি আইন তড়িঘড়ি করে তৈরি করা হয়েছিল এবং অত্যন্ত সচেতনতার সাথে সংসদে এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রথম থেকেই এই আইন নিয়ে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট: আমরা এই তিনটি আইন বাতিল করার পক্ষে। কারণ এগুলো খাদ্য সুরক্ষার ভিতকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে, যা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, খাদ্য সংগ্রহ এবং পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম - এই তিন স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন