গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্রে মোদীর ঘনিষ্ঠতা নতুন নয়। আদানি কাণ্ডের পর, লোকসভায় এই নিয়ে রাহুল গান্ধী ও রাজ্যসভায় মল্লিকার্জুন খাড়গে সরব হয়েছিলেন। এর জেরে ক্ষুদ্ধ মোদী সরকার।
আদানি প্রসঙ্গে রাহুল ও খাড়গের মন্তব্যকে সংসদের রেকর্ড থেকে তা বাদ দিয়েছে উভয় কক্ষের প্রিসাইডিং অফিসারেরা। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার, কংগ্রেস সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি জানান - 'অসংসদীয় কোনও কথা বলেননি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধী। তাই, অবিলম্বে, আদানি নিয়ে দুই কংগ্রেস নেতার বক্তব্য সংসদের রেকর্ডে ফিরিয়ে আনা উচিত।'
কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে এই ঘটনার নিন্দা করে জানান, 'সংসদীয় ইতিহাসে এই ঘটনা নতুন নয়। আগেও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের বিরুদ্ধে একই রকম শব্দ ব্যবহার করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। যা এখনও রেকর্ডে পাওয়া যাবে।'
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত আদানি গোষ্ঠীর মহা কেলেঙ্কারির বিষয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে সরানোর মাধ্যমে লোকসভায় গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করা হল। ওম শান্তি।'
কী বলেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে?
বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় খাড়গে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে একজনের সম্পদ গত আড়াই বছরে ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালে তাঁর (আদানির) সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার কোটি টাকা। ২০১৯ সালে তা পৌঁছায় ১ লাখ কোটি টাকায়। কিন্তু, কোনও এক 'জাদু'তে, হঠাৎ করে দুই বছরে তা ১২ লাখ কোটি টাকার সম্পদে এসে ঠেকেছে... বন্ধুত্বের কারণেই হোক বা অনুগ্রহের কারণে।'
যা বলেছিলেন রাহুল গান্ধী -
৭ ফেব্রুয়ারি, লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী বলেন, 'আগে আদানির বিমানে যাত্রা করতেন তিনি (মোদী)। এখন আদানি তাঁর নিজস্ব বিমানে মোদীজির সঙ্গে ভ্রমণ করেন। প্রথমে বিষয়টি গুজরাটের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তারপর তিনি (আদানি) দেশে এবং এখন আন্তর্জাতিক হয়ে উঠেছেন।'
এদিন সংসদে রাহুল গান্ধী বলেন, 'আসল জাদু শুরু হয় ২০১৪ সালে, যখন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দিল্লিতে আসেন নরেন্দ্র মোদী। ভারতে বিমানবন্দরের উন্নয়নের পরিকল্পনা করেন তিনি (মোদী)। এই সময় নিয়ম ছিল, কেউ বিমানবন্দর ব্যবসায় না থাকলে তাঁকে চুক্তিতে নেওয়া যাবে না। কিন্তু মোদী সরকার এই নিয়ম পরিবর্তন করে, আদানির হাতে ৬টি বিমানবন্দর হস্তান্তর করে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন