কেন্দ্রের নতুন বাজেটকে 'অমৃত কাল'-এর পরিবর্তে 'মিত্র কাল বাজেট' বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগ করেছেন, বড় কোনও সমস্যা সমাধান না করে, কর্পোরেট বন্ধুদের জন্য বাজেট তৈরি করেছে মোদী সরকার। রাহুল গান্ধী বলেন, বাজেটটি আসলে 'মিত্রদের' (বন্ধুদের) জন্য করা হয়েছে।
এক টুইট বার্তায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ''মিত্র কাল' বাজেটে কর্মসংস্থানের কোনও দৃষ্টিভঙ্গি নেই। মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলার কোনও পরিকল্পনা নেই। বৈষম্য রোধ করারও কোনও উদ্দেশ্য নেই।'
তিনি জানান, 'এক শতাংশ ধনীর হাতে দেশের ৪০ শতাংশ সম্পদ, ৫০ শতাংশ সবচেয়ে দরিদ্র ব্যক্তি ৬৪ শতাংশ GST দেয়, ৪২ শতাংশ যুবক বেকার। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিকে পাত্তা দিচ্ছে না! এই বাজেট প্রমাণ করে যে, ভারতের ভবিষ্যত গড়ার জন্য সরকারের কোনও রোডম্যাপ নেই।'
অন্যদিকে, বাজেটে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যার কথা উল্লেখ না থাকা, MGNREGA বরাদ্দ কমানোর জন্য মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম। তিনি বলেন, 'PM Kisan-র সঙ্গে সাথে MGNREGA-র ওভারল্যাপ করা হয়েছে। বয়স্ক কর্মীদের ক্ষেত্রে MGNREGA-র সঙ্গে বার্ধক্য ভাতা ওভারল্যাপ করেছে। এরকম কয়েক ডজন ওভারল্যাপ আছে।'
একইসঙ্গে, মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ বাতিল করায় মোদী সরকারের 'স্বেচ্ছাচারীতা' নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, 'সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষা ঋণে যে ভর্তুকি ছিল, তা তুলে দেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত।'
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, 'সংখ্যালঘু ছাত্রদের ফেলোশিপ এবং ভর্তুকি কি একমাত্র স্কিম, যা অন্য স্কিমের সাথে ওভারল্যাপ করে? সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলতে চাইছে সরকার। প্রকাশ্যে সংখ্যালঘু বিরোধী নীতি প্রদর্শনকে সম্মানজনক বলে মনে করে সরকার। এটাই আমাদের কাছে লজ্জার বিষয়!'
এরপরেই তিনি বলেন, 'বাজেটে অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় কোথাও বেকারত্ব, দারিদ্র্য, অসমতা বা ইক্যুইটি শব্দগুলি উল্লেখ করেননি। শুধুমাত্র দয়া প্রদর্শন করে বক্তৃতায় দু'বার 'দরিদ্র' শব্দটি উল্লেখ করেছেন।' তিনি জানান, 'এটা ভারতের জনগণ খেয়াল করছে, 'কার জন্য' সরকার উদ্বিগ্ন, 'কাদের' জন্য নয়।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন