লোকসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে কংগ্রেস, যুব কংগ্রেসের সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করলো আয়কর দপ্তর। দলের মুখপাত্র অজয় মাকেন একথা জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর সাংঘাতিক আঘাত” বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে প্রেস কনফারেন্স করে আজয় মাকেন বলেন, “আমরা বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা যা চেক ইস্যু করেছিলাম ব্যাঙ্কে তা কাজ করছিল না। পরে তদন্ত করে জানতে পারি যুব কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। যুব কংগ্রেস এবং কংগ্রেস পার্টির কাছ থেকে ২১০ কোটি টাকা রিকভারি চেয়েছিল আয়কর দপ্তর। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে অনলাইন ক্রাউডফান্ডিংয়ের টাকা ছিল। কোনও পুঁজিপতির কাছ থেকে পাওয়া টাকা বা কর্পোরেট বন্ডের টাকা ছিল না এটা। প্রায় ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিলাম আমরা জনগণের কাছ থেকে ক্রাউডফান্ডিং করে, এর মধ্যে সিংহভাগ লোকই ১০০ টাকা করে দিয়েছিলেন। আর যুব কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা ওদের মেম্বারশিপের টাকা।“
“নির্বাচনের মাত্র ২ সপ্তাহ আগে দেশের প্রধান বিরোধী দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হল। বিরোধীদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা গণতন্ত্রকে ফ্রিজ করার সমতুল্য”, বলে দাবি করেন তিনি।
মাকেন বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ করার মতোও টাকা নেই। বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়নি। কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার মতোও কোনও টাকা নেই।“
তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এদিন বেলা ১২ টার দিকে ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টগুলি ফের চালু করেছে আয়কর দপ্তর। দিল্লিতে ইনকাম ট্যাক্স আপীলেট ট্রাইব্যুনাল (আইটিএটি) এর কাছে কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি আপিল দায়ের করার এক ঘণ্টা পর অ্যাকাউন্টগুলি চালু করে দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন