এবিজি শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২৮টি ব্যাঙ্ক থেকে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে লোপাট করে দেওয়ার অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। মোদির রাজ্য গুজরাটে এই প্রতারণার অভিযোগে সরব হয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন এই সংস্থাকে বিপুল পরিমাণ জমি পাইয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এই কেলেঙ্কারি চিহ্নিত করতে সময় লেগে গেল ৫ বছর।
কিন্তু কেন এত সময় লাগল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। কী জানাচ্ছেন নির্মলা? অর্থমন্ত্রীর দাবি, সাধারণত এই ধরনের জালিয়াতির ঘটনা চিহ্নিত করতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে সময় কমই লেগেছে। অনেক তাড়াতাড়িই মামলা রুজু করা গিয়েছে। কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্ত ঋষি আগরওয়াল ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়েছেন। তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্বও পেয়ে গিয়েছেন।
এদিকে অর্থমন্ত্রী পাল্টা তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই। তাঁর দাবি, কংগ্রেস আমলে সংস্থাটি ওই ঋণ নেয়। ২০১৩ সালের নভেম্বরে অ্যাকাউন্টটি নন-পারফর্মিং অ্যাসেট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তখন থেকেই আর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি। ২০১৪ সালের মার্চে নতুন করে তৈরি হয় ওই ঋণের পরিকাঠামো।
এদিকে কংগ্রেসের কটাক্ষ, কেন্দ্রীয় সরকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে যে দেশের অর্থনীতিতে ৫ ট্রিলিয়নে পৌঁছবে। এদিকে তাদের আমলে ৫.৩৫ ট্রিলিয়নের ব্যাংক জালিয়াতি হয়েছে। কিন্তু মাত্র ০.৭ শতাংশই উদ্ধার করা গিয়েছে বলে ২০২০-২১ সালের এক আরটিআইয়ের জবাবে আরবিআই জানিয়েছিল। কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, প্রতিদিন ব্যাংক জালিয়াতির ধাক্কায় গড়ে ১৯৫.৫ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন