আত্মসমর্পণ করলেন খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু। পাঞ্জাবের পাতিয়ালার একটি আদালতে এদিন বিকেলে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। গতকাল তাঁকে ১ বছরের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
আজ সকালেই আত্মসমর্পণের জন্য মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন সিধু। তাঁর হয়ে বিচারপতি এএম খানউইলকরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সিনিয়র আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি। খানউইলকর তাঁকে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা কাছে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু সূত্রের খবর, আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে উল্লেখ করা যায়নি। তাই সিদ্ধান্ত বদল করে আত্মসমর্পণ করলেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।
বৃহস্পতিবার ৩৪ বছরের পুরনো রোড রেজ মামলায় (Road Rage Case) এক বছরের সাজা শোনানো হয়েছে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধুকে। ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর, পটিয়ালার রাস্তায় গুরনাম সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করে সিধু ও তাঁর বন্ধু রুপিন্দ্র সিংহ সান্ধু। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই মারা যান গুরনাম। এরপর সিধুর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় দায়ের হয় নিম্ন আদালতে। সেখানে তিনি ছাড়া পেয়ে যান।
এরপর ২০০৬ সালে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন সিধু। তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। ২০০৭ সালে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিধু। ২০১৮ সালের শেষে, পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের রায় বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ১০০০ টাকার জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হয় কংগ্রেস নেতাকে।
কিন্তু নিহতের পরিবার এরপরও লড়াই চালিয়ে গেছেন। ওই বছরই সিধুর বিরুদ্ধে ‘খুনের’ মামলা দায়ের করার আবেদন জানান মৃতের পরিবার। সেই মামলায় এদিন সিধুর ১ বছরের কারাদণ্ড শুনিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরেই সিধু টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করব।‘
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন