নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশের আগে সাংসদদের হাতে তুলে দেওয়া সংবিধানের অনুলিপিগুলির প্রস্তাবনা থেকে 'সমাজবাদী' এবং 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দদুটি বাদ দেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এই ঘটনা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি। কেন্দ্রের এই উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার অধীর চৌধুরী বলেন, "আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) সংবিধানের নতুন কপি আমাদের দেওয়া হয়েছে। এটি হাতে নিয়ে আমরা নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করেছি। কিন্তু সংবিধানের প্রস্তাবনায় 'সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দ দুটি নেই। আমরা জানি, ১৯৭৬ সালে সংশোধনের পর এই শব্দ দুটি সংবিধানে সংযোজন করা হয়েছিল। কিন্তু কেউ যদি এখন আমাদের সংবিধান দেয় এবং তাতে সেই শব্দগুলি না থাকে তবে এটি উদ্বেগের বিষয়। তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক।"
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা আরও বলেন, "এটা কৌশলে করা হয়েছে। এটা নিয়ে আমি খুব উদ্বিগ্ন। আমি এই বিষয়টি উত্থাপন করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সুযোগ পাইনি।"
অধীরের এই অভিযোগ ঘিরে এই মুহূর্তে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টি (সিপিপি) চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী বুধবার অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগকে সমর্থন করেছেন। সিপিআই-এম সাংসদ বিনয় বিশ্বম এই ঘটনাকে "অপরাধ" অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
কংগ্রেস সাংসদের অভিযোগের জবাবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল বলেন, "সংবিধান যখন গৃহীত হয়েছিল তখন প্রস্তাবিনা এরকম ছিল। এর পরে, ১৯৭৬ সালে ৪২ তম সংশোধনী এসেছিল। এটি (সাংসদদের দেওয়া অনুলিপি) অবশ্যই আসল অনুলিপি হতে হবে।”
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার দ্বারা জারি করা জরুরি অবস্থার সময়, ৪২ তম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়। "সার্বভৌম" এবং "গণতান্ত্রিক" শব্দদুটির মাঝে "সমাজতান্ত্রিক" এবং "ধর্মনিরপেক্ষ" শব্দগুলি যোগ করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন