জি-৭ সামিটে যোগ দিতে জাপানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার, হিরোশিমায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে সঙ্গে নিয়ে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করেছেন তিনি।
এক টুইট বার্তায় মোদী জানান, ’হিরোশিমায় মহাত্মা গান্ধীর আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হয়েছে। হিরোশিমায় এই আবক্ষ মূর্তি শান্তি ও সম্প্রীতি’র বার্তা দেয়। গান্ধীজির আদর্শ আজও মেনে চলে সারা বিশ্ব। তাঁর মহান এই আদর্শ লক্ষ লক্ষ মানুষকে শক্তি দেয়।’
তবে, জাপানে মহাত্মা গান্ধীর এই মূর্তি উন্মোচন নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। গান্ধীর আদর্শকে নিয়ে মোদীকে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতাকে নিশানা করে টুইটারে রমেশ লিখেছেন, "এন্টায়ার পলিটিক্যাল সায়েন্স-এ এমএ-র আসল বৈশিষ্ট্য হল - ভণ্ডামির শীর্ষে উঠে, ন্যূনতম আন্তরিকতা দেখানো!’
গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের নাম না নিয়ে, এদিন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র বলেন, ‘একদিকে হিরোশিমায় গান্ধীর আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করলেন তিনি। আর, ৮ দিন পরে, সেই ব্যক্তির জন্মবার্ষিকীতে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেবেন তিনি, যিনি সারাজীবন গান্ধীর বিরোধিতা করেছিলেন। সবথেকে খারাপ বিষয় হল, শেষ পর্যন্ত যারা মহাত্মাকে হত্যা করেছিল তাদেরকেই বাহবা দিয়ে সামনে আনা হচ্ছে।’
আগামী ২৮ মে সাভারকরের ১৪০তম জন্মবার্ষিকী। সেই দিনেই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করতে চলেছেন মোদী। এ নিয়ে জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এ হল বেপরোয়া ভাবে সংবিধানের প্রণেতা ভীমরাও আম্বেডকরকে অস্বীকার করা। দেশের প্রতিষ্ঠাতা পুরুষদের চরম অপমান। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, বল্লভভাই পটেল, সুভাষচন্দ্র বসুর মতো সকলকে প্রত্যাখ্যান করা।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন