Karnataka: মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দলীয় নেতার! অন্তর্দ্বন্দ্বে অস্বস্তি কংগ্রেসে

গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ এই কংগ্রেস নেতার বিদ্রোহ ঘোষণার পর কর্ণাটকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আবার তোলপাড় শুরু হয়েছে।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

মাত্র দু'মাসের মধ্যেই কর্ণাটকে কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন কর্ণাটক বিধান পরিষদের বিরোধী দলনেতা বি.কে হরিপ্রসাদ। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হয়েও বর্তমানে সেই সম্প্রদায়গুলির বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করছেন বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন মন্ত্রীসভায় জায়গা না পাওয়া হরিপ্রসাদ। গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ এই কংগ্রেস নেতার বিদ্রোহ ঘোষণার পর কর্ণাটকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আবার তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সদ্য বিজেপিকে হারিয়ে কর্ণাটকে সরকার গড়েছে কংগ্রেস। কিন্তু সরকার গড়লেও গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও ইঙ্গিত নেই কর্ণাটক কংগ্রেসে। রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া নেতা হরিপ্রসাদ এবার সরাসরি সিদ্দারামাইয়ার উপরেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন।

বৃহস্পতিবার সংখালঘু সম্প্রদায় এডিগা, বিল্লাভা এবং ডিভারা-র নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন হরিপ্রসাদ। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। তিনি এদিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের জানান, “আমি মন্ত্রিত্ব পেলাম কি পেলাম না সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু পাঁচজন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী আমার আত্মীয় নন। কিন্তু তাও আমি একজন পিছিয়ে পড়া শ্রেণির নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছি। আমি খুব ভালো করে জানি কী করে একজন মুখ্যমন্ত্রী বানাতে হয় এবং একইসঙ্গে তাঁকে পদচ্যুত করতেও পারি আমি।”

মন্ত্রিত্বের জন্য ভিক্ষা করবেন না বলে দাবি করে এদিন তিনি আরও বলেন, “আমি লড়াই করে মন্ত্রিত্ব নিতে জানি, ভিক্ষা করে নয়। তা না জানলে ৪৯ বছর ধরে কর্ণাটকে রাজনীতি করতে পারতাম না, আমাকে অনেক আগেই তাড়িয়ে দেওয়া হত।” অনেক চেষ্টার পরেও পিছিয়ে পড়া শ্রেণি থেকে উঠে আসা মানুষ রাজনীতিতে নাম করতে পারছেন না বলে এদিন তিনি দুঃখ প্রকাশও করেন।  

পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে তিনি দাবি করেন, “আমি নির্বাচন কমিটিতেও ছিলাম। এই সম্প্রদায়ের ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ার টিকিট পাননি। সেই টিকিটগুলি ম্যাঙ্গালুরু উত্তর ও দক্ষিণের সংখ্যালঘু প্রার্থীদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংখ্যালঘুদের জন্য টিকিট সংরক্ষণের অজুহাতে আমাদের প্রার্থীদের টিকিট থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।”

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in