লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা হিসেবে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বদলে অন্য মুখ খুঁজছে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সরকারকে সংসদে এবং সংসদের বাইরে আরও কোণঠাসা করার জন্যই বিকল্প মুখের কথা ভাবা হচ্ছে। সূত্র অনুসারে, আগামী দিনে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলতে চাইছে কংগ্রেস। এই পদক্ষেপ তারই প্রথম বার্তা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোরতর বিরোধী বর্তমান প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের আসন শূন্য হয়ে যাওয়ার পর তাঁকে সরানো কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের পক্ষে অনেক সহজ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বদলে এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে শশী থারুর অথবা মণীশ তেওয়ারীকে। মণীশ তেওয়ারী পাঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিবের সাংসদ। যদিও তিনি মূলত উত্তরপ্রদেশের মানুষ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। অন্যদিকে কেরালা থেকে নির্বাচিত সাংসদ শশী থারুরও কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব।
অন্য একটি মহল থেকে রাহুল গান্ধীর নাম উঠে এলেও তিন এই দায়িত্ব নিতে রাজী নন। সূত্র অনুসারে, কংগ্রেস যেহেতু লোকসভায় বিরোধী দলের যোগ্যতামান পেরোতে ব্যর্থ হয়েছে তাই রাহুল গান্ধী কোনোভাবেই লোকসভায় দলের নেতা হতে রাজী নন।
উল্লেখযোগ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলে যে জি-২৩ শিরোনামে এসেছিলো মণীশ তেওয়ারী এবং শশী থারুর দুজনেই ওই শিবিরে ছিলেন। বর্তমানে কংগ্রেসকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী। যার জন্য সম্পূর্ণ নতুন টিম তৈরি করতে চাইছেন তিনি। অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে লোকসভার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাজ্যে সংগঠন বাড়াতে পাঠানো হতে পারে। কারণ এখনও পর্যন্ত তিনিই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন