কংগ্রেসের নয়া সভাপতি হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় পর কংগ্রেসের প্রথম অ-গান্ধী সভাপতি হলেন তিনি। এর আগে গান্ধী পরিবারের বাইরে শেষ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সীতারাম কেশরী (Sitaram Kesri)।
সূত্রের খবর, ২০২২ সালের কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছিল ৯,৩৮৫ টি। এরমধ্যে খাড়গে পেয়েছেন ৭,৮৯৭ টি ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর (Shashi Tharoor) পেয়েছেন ১,০৭২ টি ভোট। অর্থাৎ, শশী থারুরকে ৬,৮২৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। এছাড়া, ৪১৬ টি ভোট বাতিল হয়েছে।
কংগ্রেসের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো দলীয় প্রধানের পদে নির্বাচন হল। এর আগে ১৯৯৮ সালে জিতেন্দ্র প্রসাদকে (Jitendra Prasada) পরাজিত করেন সোনিয়া গান্ধী। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। তারপর কংগ্রেসের সভাপতি হন রাহুল গান্ধী।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর কংগ্রেসের সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস প্রধান হন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। এবার তাঁর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হবেন গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুন খাড়গে।
জানা যাচ্ছে, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শশী থারুর। বুধবার, ভোট গণনার দিন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
থারুরের নির্বাচনী এজেন্ট সলমন সোজ (Salman Soz) বলেছেন, ‘আমরা মধুসূদন মিস্ত্রির অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। নির্বাচন সংক্রান্ত বেশ কিছু অস্বচ্ছতার কথা জানিয়েছি।’
উদাহরণ হিসাবে, উত্তরপ্রদেশের কথা তুলে ধরেছেন শশী থারুরের নির্বাচনী এজেন্ট সলমন সোজ। তিনি দাবি করেন, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ‘বিরক্তিকর তথ্য’ রয়েছে। তাই আমরা এই রাজ্যের ভোট বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
জানা যাচ্ছে, চার পাতার চিঠিতে সলমন সোজ যে অভিযোগ করেছেন তার মধ্যে আছে, ১) ব্যালট বক্সে আন-অফিশিয়াল সিল ব্যবহার করা হয়েছে। ২) পোলিং বুথে অনুমতি ছাড়াই একাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। ৩) ভোটিং পদ্ধতিতেও কারচুপি হয়েছে এবং ৪) গণনার কোনও সামারি শিটও দেওয়া হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন