‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতিতে ফিরতে চলেছে কংগ্রেস। সূত্র অনুসারে ‘চিন্তন শিবির’-এর পরেই এই নিয়ম দলের সর্বস্তরে কার্যকর করা হবে। ইতিমধ্যেই এই নীতি অনুসারে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে কমল নাথ পদত্যাগ করেছেন।
অনুমান করা হচ্ছে, কংগ্রেসে এই নীতি কার্যকর করা হলে একাধিক দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার ওপর কোপ পড়ার সম্ভাবনা। সূত্র জানিয়েছে, কংগ্রেস চায় সমস্ত রাজ্য ইউনিট তার কর্মক্ষমতাতে আরও প্রাণবন্ত এবং সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপে জড়িত হোক। এক্ষেত্রে দ্বৈত বা তার বেশি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বকে একটি করে পদ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে অধীর রঞ্জন চৌধুরী, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং মুকুল ওয়াসনিকের মতো কংগ্রেস নেতৃত্ব একাধিক দলীয় পদে আছেন।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা এবং পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা পার্টির কর্ণাটকের সাধারণ সম্পাদক এবং দলের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। মুকুল ওয়াসনিক মধ্যপ্রদেশ পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির (CEC) সম্পাদক।
অন্যদিকে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে গোবিন্দ সিংকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেছেন।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল বৃহস্পতিবার কমলনাথকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, "আপনাকে জানানো হচ্ছে যে কংগ্রেস সভাপতি, কংগ্রেস আইনসভা পার্টি, মধ্যপ্রদেশের নেতার পদ থেকে আপনার পদত্যাগ অবিলম্বে গ্রহণ করেছেন। মধ্যপ্রদেশে বিরোধী দলনেতা হিসাবে আপনার অবদানের জন্য আন্তরিকভাবে প্রশংসা জানাই।"
কমলনাথ বিরোধী নেতা এবং রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এখন তিনি কেবল দলের রাজ্য শাখার প্রধান। প্রবীণ এই নেতা বলেছেন, তিনি এর আগেই দুটি পদের একটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তখন দল তাঁকে দুই পদে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছিল।
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের পক্ষে দুটি পদে থাকার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন ধরে তাঁর কড়া সমালোচনা করা হচ্ছিলো।
- with Agency inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন