হরিয়ানা নির্বাচনের আগে স্বস্তি কংগ্রেস শিবিরে। কংগ্রেসের হয়ে শীঘ্রই প্রচারে নামছেন কংগ্রেস সাংসদ কুমারী সেলজা। সোমবার বিজেপি যোগের জল্পনা ওড়ালেন সেলজা নিজেই।
৫ অক্টোবর হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার কংগ্রেস শিবির। কংগ্রেস সাংসদের বিজেপি যোগের সম্ভাবনাও জোরালো হচ্ছিল। কিন্তু সমস্ত কিছু 'গুজব' বলে উড়িয়ে দেন রাজ্যের বিশিষ্ট দলিত নেত্রী সেলজা নিজেই। সোমবার কংগ্রেস সাংসদ জানান, "কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি গুজব ছড়াচ্ছিলেন। আমার রক্তে কংগ্রেস রয়েছে। আমার বাবা তেরঙা পতাকা মুড়ে মারা যান। আমিও একই ভাবে পৃথিবীকে বিদায় জানাতে চাই। আসলে দলের মধ্যে অনেক কিছুই আলোচনা হয় যা সবসময় প্রকাশ্যে বলা যায় না"।
পাশাপাশি এক্স মাধ্যমে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানান, "২৬ তারিখ দুপুর ১২টায় নারওয়ানার একটি জনসভায় উপস্থিত থাকবেন কুমারী সেলজা এবং কংগ্রেসের হয়ে প্রচারও করবেন। রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে কংগ্রেস লড়বে, জিতবে এবং হরিয়ানার স্বপ্ন পূরণ করবে"।
প্রসঙ্গত, সূত্র মারফত জানা যায়, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা এবং তাঁর পুত্র দীপেন্দ্র সিং হুডার গোষ্ঠীর সাথে কুমারী সেলজা ও রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার গোষ্ঠীর বিরোধ বাধে। ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানার ১৩টি আসনে প্রার্থী করা হয় লজা ও সুরজেওয়ালা গোষ্ঠীর নেতাদের। সেলজা আরও বেশি আসনের দাবি জানিয়েছিলেন। দল তা অনুমোদন না করায় প্রচারে নামেননি তিনি। রাজ্যের ২০-২২ টি আসনে দলিত ভোট ব্যাঙ্ক বড় ফ্যাক্টর। সেই ভোট ব্যাঙ্কে সেলজার বেশ প্রভাব রয়েছে। এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সুযোগ তুলতে চেয়েছিল বিজেপি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সেলজাকে বিজেপিতে যোগদান করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের দলিত বোন সেলজাকে কংগ্রেস অপমান করেছে। তাঁকে বাড়িতে বসিয়ে রাখা হয়েছে। হুডা ও গান্ধী পরিবারের কোনও লজ্জা নেই। আমরা সেলজাকে বিজেপিতে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, হরিয়ানা বিধানসভার ৯০ আসনেই আগামী ১ অক্টোবর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল কিন্তু জনস্বার্থে সেই তারিখ পিছিয়ে ৫ অক্টোবর করা হয়েছে। ফলপ্রকাশ হবে ৮ অক্টোবর। বর্তমানে এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে এনডিএ জোট। গত নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ৪০টি আসনে এবং কংগ্রেস জিতেছিল ৩১টি আসনে। তবে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচিনে রাজ্যের ১০টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস এবং বাকি ৫টিতে জেতে বিজেপি। ফলে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বিধানসভা নির্বাচনে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন