আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে জেপিসি তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা। এ নিয়ে উত্তাল হয়েছে সংসদ। বারে বারে মুলতুবি হয়েছে লোকসভা। কিন্তু, এই হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আদানির শেয়ার ধস, এবং তা নিয়ে জেপিসি তদন্তের দাবিতে ভিন্ন মত পোষণ করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
শুক্রবার, NDTV-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদানি গ্রুপের উপর মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টকে ‘উদ্দেশ্য পূর্ণ’ আক্রমণ বলে দাবি করেন পাওয়ার।
পরোক্ষভাবে আদানিদের সমর্থনে করে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এদিন বলেন, ‘দেশে জ্বলন্ত ইস্যুগুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে আদানি ইস্যুকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মানুষের সমস্যার থেকেও বেশি দেশের একটি স্বতন্ত্র শিল্প গোষ্ঠীকে টার্গেট করা হয়েছে বলেই আমার মনে হয়। যদি আদানিরা কিছু ভুল করে থাকে, তবে অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু সংসদে জেপিসি তদন্তের দাবি নিয়ে আমার ভিন্নমত আছে।’
শরদ পাওয়ার আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্ববধানে কমিটি গড়ে যদি তদন্ত হয় তাহলে সেই তদন্ত কারো দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে না। যদি সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত পরিচালনা করে, তবে সত্য প্রকাশের আরও ভালো সম্ভাবনা থাকবে। তাই সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত ঘোষণা করার পরে, জেপিসি তদন্তের কোনও গুরুত্ব নেই।‘
কংগ্রেসের জোট শরীক ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের এই মন্তব্য সামনে আসার পরেই, দেশ জুড়ে ‘বিরোধী ঐক্য’ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তবে, এই বিতর্কে পাওয়ারের মন্তব্যকে দূরে সরিয়ে কংগ্রেস জানিয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে ‘সম্পর্কিত’, এটি ‘বাস্তব এবং অত্যন্ত গুরুতর’ বিষয়।
এক বিবৃতিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এনসিপি-র দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন থাকতে পারে, তবে ১৯টি সমমনা দল এব্যাপারে নিশ্চিত যে, আদানি গ্রুপের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী-সম্পর্কের বিষয়টি বাস্তব এবং অত্যন্ত গুরুতর।’
একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘এনসিপি-সহ সমস্ত ২০ টি সমমনা বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধভাবেই বিজেপির আক্রমণ থেকে সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে বাঁচাবে। একইসঙ্গে, বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি এবং ধ্বংসাত্মক সামাজিক ও অর্থনৈতিক এজেন্ডাকে পরাস্ত করতে একজোট হবে।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন