আসামে গান্ধীমূর্তি সরানো নিয়ে ধুন্ধুমার। গান্ধীমূর্তি সরিয়ে ক্লক টাওয়ার বসানোয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে অল আসাম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (AASU)। নিন্দা করেছেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তথা সমাজকর্মী তুষার গান্ধী। যদিও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
ঘটনাটি ঘটেছে আসামের তিনসুকিয়া জেলার গান্ধী চকে। ওই স্থানে ৫.৫ ফুটের একটি গান্ধী মূর্তি ছিল। সেটি সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্র সংগঠনের। এক ছাত্রনেতা জানান, "আমরা যখন পুর বোর্ড এবং টাউন কমিটির সাথে দেখা করেছিলাম, তাঁরা জানিয়েছিল ওই স্থানে একটি ক্লক টাওয়ার হবে। কিন্তু এটা জানায়নি যে গান্ধী মূর্তি সরিয়ে ফেলা হবে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন সকলের মতামত নেওয়া হল না?"
এর আগে মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী জানিয়েছিলেন, আমরা কোনও শহরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের বিরোধিতা করি না তবে গান্ধীমূর্তির সাথে ক্লক টাওয়ারের তুলনা হয় না।
বিজেপি বিধায়ক রূপেশ গোয়ালা এই নিয়ে জানান, "গান্ধীমূর্তি সরানো নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করছে। শহরের মাঝখানে গান্ধীজির ভাঙা মূর্তি থাকা উচিত নয়। ছ'মাসের মধ্যে পূর্বের থেকে বড় গান্ধীমূর্তি প্রতিস্থাপন করা হবে এখানে। এলাকাটি আরও সুন্দর করে গড়ে তোলা হবে।"
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, "জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে গৃহীত এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি অবগত নই। আমাকে ঘটনাটি যাচাই করতে হবে। মহাত্মা গান্ধীর কাছে আসাম অনেক ঋণী। নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস দল যখন আসামকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল তখন তিনি ভারতরত্ন গোপীনাথ বর্দোলোইয়ের পাশে ছিলেন।"
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। একজন লেখেন, "এই কারণেই কি আপনি ১৯৯১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস করেছিলেন। আমি অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সম্মান করি। কিন্তু এই দলবদলু লোকটি অন্যদলে এসে পুরনো দলের নেতাদের দোষারোপ করেন।"
অন্য একজন লেখেন, "এমন সরকারের কাছ থেকে আর কি আশা করা যায়? যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা, প্রাণ দেওয়া বিপ্লবীদের সম্মান করে না। মোদী বিশ্বের সামনে গান্ধীজিকে সম্মান করার নাটক করেন। এদিকে আরএসএস সরাসরি গান্ধী বিরোধী।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন