'অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে নীরব কেন্দ্র। এই নীরবতা দেশকে গ্রাস করেছে। এটা 'মন্দার' প্রাথমিক পর্যায়।' সোমবার, এই ভাষাতেই কেন্দ্রের মোদী সরকার (Modi Govt.)-কে নিশানা করেছেন ত্রিপুরার (Tripura) বিরোধী দলনেতা এবং সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার (Manik Sarkar)।
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার এটা মানতে চায় না। তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করুক বা না করুক, দেশে মন্দা চলছে। এমনকি, পুঁজিবাদের নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বড় বড় অর্থনীতিও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রকোপে পড়েছে। অর্থনৈতিক সূচকগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, মহামারীর মাঝামাঝি সময় থেকেই আমরা ক্রমাগতভাবে মন্দার মধ্যে আটকে গিয়েছি।'
তিনি বলেন, 'একদিকে, দেশ বড় সঙ্কটের মুখোমুখি। অন্যদিকে, ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যেমে জনগণের দৃষ্টি ঘোরানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে শাসক দল। এটি এমন একটি প্রয়াস, যেখানে জনগণকে নানারকম সমস্যার মধ্যে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে।'
মানিক সরকার বলেন, 'বিজেপি-আরএসএস (BJP-RSS)-এর হিন্দুত্ব অন্যান্য ধর্মকে নিকৃষ্ট মনে করে। তাঁরা বিশ্বাস করে, এদেশে মুসলিম, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষের বসবাসের কোনো অধিকার নেই। অন্যদিকে, হিন্দুধর্ম আমাদের প্রতিটি ধর্মকে সমানভাবে সম্মান করতে শেখায়। হিন্দুধর্মে, মানবতা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। এই পার্থক্য প্রত্যেককে শেখানো দরকার।'
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিজেপির সাথে বামেদের লড়াই কখনই নির্বাচন কেন্দ্রিক নয়, এটি বরাবরই আদর্শগত ছিল। তাঁর কথায়, 'বিজেপি সবসময় বাম দলগুলিকে তাদের আদর্শিক হুমকি হিসাবে দেখেছে। ২০১৮ সালে, বিজেপি-আরএসএস তাদের সমস্ত মেকানিজম কাজে লাগিয়েছে। তারা (BJP) দেখাতে চেয়েছিল, তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে।'
এদিন, গোমতী জেলায় দলের সম্প্রসারণে প্রয়াত মানিক বিশ্বাসের অবদানের কথাও স্মরণ করেন তিনি।
সিপিআইএম-র রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী (Jitendra Chowdhury) বলেন, 'দলকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন কমরেড মানিক বিশ্বাস (Manik Biswas)। তবে গোমতী জেলার নতুন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাঁর মৃত্যুতে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন