কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা সহ একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করলেন এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিল বেঙ্গালুরুর একটি আদালত।
নির্মলা সীতারমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কর্ণাটকের 'জনাধিকার সংঘর্ষ সংগঠন'-র এক সদস্য আদর্শ আইয়ার। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে তা আসলে তোলাবাজির সমান। ২০১৯ এবং ২০২২ সালে এক ব্যবসায়ীর সংস্থা থেকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মোটা টাকা আদায় করা হয়। এক ওষুধ প্রস্তুত সংস্থাকেও বাধ্য করা হয় মোটা টাকা চাঁদা দিতে। নির্মলা সীতারমন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা, কর্ণাটকের বিজেপি নেতা নলীনকুমার কাতিল ও বি ওয়াই বিজয়েন্দ্রর বিরুদ্ধে তদন্ত করার আর্জি জানান মামলাকারী।
আদর্শ আইয়ার এক সংবাদমাধ্যমে জানান, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং আয়কর দফতরের অপব্যবহার করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দলের সিন্দুক ভরেছেন তিনি। কঠোর সাজা হওয়া উচিত সকলের।
মামলাকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরুর এক আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশের পরই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলার মন্ত্রিপদ খারিজের দাবি করেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
প্রসঙ্গত, এই নির্বাচনী বন্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি বলে উল্লেখ করেছিলেন স্বয়ং নির্মলা সীতারমনের স্বামী পরকালা প্রভাকত। তিনি জানিয়েছিলেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি যে হয়েছে, তা সকলে দেখতে পেয়েছেন। নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারতের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ইলেক্টোরাল বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রকল্পটি রাইটস টু ইনফরমেশন এবং সংবিধানের ১৯(১)(এ) ধারা লঙ্ঘন করে, তাই এই প্রকল্প বাতিল হওয়া উচিত বলেই জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন