মুখতার আনসারির মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর পুত্র উমর আনসারি। তারপরই আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। এক মাসের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা করতে হবে।
গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদের মৃত্যুর পরই উত্তরপ্রদেশ জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। শুক্রবার বান্দার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এমপি/এমএলএ কোর্টের বিচারক গরিমা সিংকে এক মাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারির। জানা গেছে, বান্দা জেলা হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। যদিও মুখতারের পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিষ প্রয়োগের ফলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
উমর জানান, "প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু বলা হয়নি। আমি সংবাদমাধ্যম থেকে বিষয়টি জানতে পারি। পেট ফুলে গেলে হার্ট অ্যাটাক কিভাবে হতে পারে?"
এর আগেও মুখতারকে ‘স্লো পয়জন’ দেওয়া হচ্ছে জেলে, এই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তার পরিবার। যদিও সেই সময় জেল কর্তৃপক্ষের থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের মউ কেন্দ্রের পাঁচ বারের বিধায়ক মুখতার আনসারি। ২০০৫ সালে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে ৬০ টি ফৌজিদারি মামলা বিচারাধীন ছিল। ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন আদালতে আটটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বান্দা জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রকাশ করা গ্যাংস্টারের তালিকায় ছিলেন মুখতার। কয়েকদিন আগে একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছিলেন মুখতার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন