রাজ্য কমিটি থেকে আগেই সরে গিয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এবার পলিটব্যুরোর সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি নিলেন তিনি। আপাতত আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে থাকবেন। বয়েসের কারণে পলিটব্যুরো থেকে বাদ পড়েছেন হান্নান মোল্লা এবং এস আর পিল্লাইও। কেরালার কান্নুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিপিআই(এম)-র ২৩তম পার্টি কংগ্রেস। পার্টি কংগ্রেসেই ঠিক হয় কেন্দ্রীয় কমিটিতে কারা থাকবেন, পলিটব্যুরোতে কারা থাকবেন, পার্টির সাধারণ সম্পাদক কে হবেন অথবা পার্টির আগামীদিনের রণকৌশল কী হবে!
সিপিআই(এম)-র পলিটব্যুরো হল সর্বোচ্চস্তরীয় নেতৃত্ব। সেখানে এবার জায়গা করে নিয়েছেন বাংলার রামচন্দ্র ডোম, যিনি বীরভূম থেকে দীর্ঘদিন সাংসদ ছিলেন। এর আগে তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটিতে, পরে তিনি রাজ্য সম্পাদকমন্ডলী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। পলিটব্যুরোতে হান্নান মোল্লার জায়গায় এসেছেন আর এক কৃষক নেতা অশোক ধাওয়ালে। কে হেমলতাও পলিটব্যুরোতে অন্তর্ভুক্ত হলেন। অর্থাৎ সিপিআই(এম) পলিটব্যুরোতে এই মুহূর্তে ৩ জন মহিলা প্রতিনিধি - বৃন্দা কারাট, সুভাষিণী আলির এবং কে হেমলতা।
এদিকে তৃতীয় বারের জন্য দলের সাধারণ সম্পাদকের পদে নির্বাচিত হলেন সীতারাম ইয়েচুরি। ২০১৫ সালে প্রকাশ কারাতকে সরিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বসেছিলেন ইয়েচুরি। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস অথবা বিজেপি-র মত সিপিআই (এম) বা অন্যান্য বাম দলগুলিতে সভাপতি পদ থাকে না।
বাংলা থেকে কারা কারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেলেন? সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেলেন বাংলার তিন জন। তাঁরা হলেন দেবলীনা হেমব্রম, শমীক লাহিড়ী এবং সুমিত দে। উল্লেখ্য, শমীক লাহিড়ী ডায়মন্ড হারবারের প্রাক্তন সাংসদ তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক। সুমিত দে দু’বারের নদিয়া জেলার সম্পাদক। দেবলীনা হেমব্রম ‘লড়াকু নেত্রী’ হিসাবে পরিচিত বাম মহলে। বামফ্রন্ট আমলে তিনি রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন।
নতুন তিনজন মিলিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার মোট ১৩ জন সদস্য রয়েছেন। বাকিরা হলেন - সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তী, অমিয় পাত্র, রবীন দেব, আভাস রায়চৌধুরী, রামচন্দ্র ডোম, রেখা গোস্বামী এবং অঞ্জু কর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন