২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী মধ্যপ্রদেশের ২৩০ জন বিধায়কের মধ্যে ২৯ জনের নামেই আদালতের তরফে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। উল্লেখযোগ্য, ওই ২৯ জন বিধায়কের মধ্যে কংগ্রেসেরই বিধায়ক রয়েছেন মোট ১৬ জন। বুধবার এই তথ্য সামনে আনল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফরমস (ADR)-এর একটি রিপোর্ট। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও উপ-নির্বাচনের আগে কমিশনে জমা দেওয়া বিভিন্ন দলের জয়ী ‘প্রার্থী’দের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করেই এই তথ্য প্রকাশ করেছে ADR।
রিপোর্ট বলছে, মধ্যপ্রদেশের বর্তমান ২৩০ জন বিধায়কের মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশের (২৯ জন) বিরুদ্ধে আদালতে জনপ্রতিনিধি আইন, ১৯৫১-এর ৮ (১) (২) (৩) ধারার অধীনে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যে ২৯ জন বিধায়কের নামে মামলা রয়েছে তাঁদের মধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ১৬ জন। তালিকায় এরপরেই রয়েছে বিজেপির ১২ জন বিধায়কের নাম। এছাড়াও, বিএসপি’র মাত্র একজন বিধায়কের নামেও মামলা রয়েছে।
রিপোর্ট আরও জানিয়েছে, যেসব বিধায়কদের নামে জনপ্রতিনিধি আইনের ৮(১) ধারায় মামলা রয়েছে, তাঁদের দোষ প্রমাণিত হলে বিধায়ক পদ বাতিল হতে পারে। আবার, যাদের বিরুদ্ধে আইনের ৮(২) ধারায় মামলা রয়েছে, তারা দোষী সাব্যস্ত হলে বিধায়ক পদ বাতিলের পাশাপাশি ৬ মাসেরও দীর্ঘ কারাবাসের শাস্তি পেতে পারেন। অন্যদিকে, যে বিধায়কদের নামে ৮ (৩) ধারায় মামলা রয়েছে, তাদের সেই দোষ প্রমাণিত হলে তারা বিধায়ক পর খারিজের সঙ্গে ২ বছরেরও দীর্ঘ কারাদণ্ডের শাস্তি ভোগ করবেন।
বিধায়কদের নামে বিচারাধীন ওই ফৌজদারি মামলাগুলির মধ্যে কোনও কোনও মামলা ছয় বছরের বেশি সময় ধরে চলছে বলেও জানিয়েছে সাম্প্রতিকতম ওই ADR রিপোর্ট। আরও বলা হয়েছে, “১০ জন বিধায়কের নামে প্রায় ১০ বছর ধরে মোট ১২টি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন হয়ে পড়ে রয়েছে।”
২০২৩ সালের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ওই বিধায়কদের মধ্যে থেকে যারা পুনরায় লড়াইয়ে নেমেছেন, তারা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই এর বর্তমান অবস্থা জানা যাবে বলে জানিয়েছে ADR।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন