মণিপুরে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ-র ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’ ব্যর্থ হয়েছে এবং অবিলম্বে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা দরকার। দেশের অধিকাংশ মানুষ এমনটাই মনে করছেন। CVoter পরিচালিত এক সমীক্ষায় এই তথ্যই উঠে এসেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই সমীক্ষায় জানিয়েছেন গত মে মাসের শুরু থেকে মণিপুরে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে তা দমন করতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা প্রয়োজন।
CVoter সমীক্ষার সময় উত্তরদাতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়: আপনি কি মনে করেন যে মণিপুরে হিংসার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে? সামগ্রিকভাবে, উত্তরদাতাদের প্রায় ৫৭ শতাংশ এই প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বলেছেন। প্রায় ৩০ শতাংশ উত্তরদাতা এই প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।
উত্তরদাতাদের মধ্যে এনডিএ সমর্থকদের এক বড়ো অংশ জানিয়েছেন, মণিপুরে ডাবল ইঞ্জিন সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ (৫৮ শতাংশ) উত্তরদাতারা জানিয়েছেন, বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক কারণে মণিপুরে হিংসা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
উত্তরদাতাদের মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষে মতামত দিয়েছেন। এনডিএ সমর্থকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ (৫৪ শতাংশ) অংশ রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষে রায় দিয়েছেন। অন্যদিকে এক তৃতীয়াংশেরও কম উত্তরদাতা এই বিতর্কের সাথে সহমত নয়।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্য এই বছরের ৩ মে থেকে জাতিদাঙ্গায় বিধ্বস্ত। মণিপুর হাইকোর্ট আদিবাসী মেইতি উপজাতিকে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার আদেশ দিলে কুকি উপজাতির সদস্যরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এরপরেই দুই পক্ষে দাঙ্গা বেধে যায়।
মণিপুর হাইকোর্টের সেই আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করে মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্ট। কুকি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিক্ষোভ দ্রুত ভয়ঙ্কর হিংসায় পরিণত হয়। কারণ দুই সম্প্রদায়ের জঙ্গি অংশ একে অপরের উপর ক্রমাগত আক্রমণ শুরু করে, পুলিশ থানা এবং অস্ত্রাগারগুলিতে আক্রমণ করে এবং অস্ত্র লুট করে।
মণিপুরে হিংসার সময় মহিলারা নির্মম লাঞ্ছনা এবং গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মণিপুর হিংসায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন