ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আশনি। অতিশক্তি ঘূর্ণিঝড় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে বলে মৌসম ভবন জানাচ্ছে। ইতিমধ্যে আজ সকাল থেকেই অন্ধ্রের শ্রীকাকুলামে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী ৫ দিন বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে বলে শোনা যাচ্ছে। ওড়িশা, অন্ধ্র, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাতে প্রশাসনের জোর নজরদারি চলছে।
মৌসম ভবন টুইট করে জানিয়েছে, অশনি কাঁকিনাড়া থেকে ৩০০ কিমি, বিশাখাপত্তনাম থেকে ৩৩০ কিমি, গোপালপুর থেকে ৫১০ কিমি এবং পুরী থেকে ৫৯০ কিমি দূরে অবস্থান করছে। গতকাল রাতে ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এটি মূলত ওড়িশা উপকূলে প্রবেশ করবে বলে জানা যাচ্ছে। যত স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে তত বাঁক নিচ্ছে অশনি, যার জেরে শক্তিক্ষয় হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের।
আবহাওয়াবিদদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনো ল্যান্ডফল হবে না। ঘন্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলমিটার বেগে ঝোড় হাওয়া বইতে পারে বলে আবহাওয়া সূত্রের খবর। এদিকে কলকাতা বিমানবন্দরে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে খালি রাখা হবে। সবসময় হেডকোয়াটারের সাথে বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষকে যোগাযোগ রাখতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগণা, মেদিনীপুরে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে নিরাপদ স্থানে সকলকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। দীঘা, মন্দারমনি, বকখালি থেকে পর্যটকদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতার বাবুঘাটেও পুলিশের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইয়াশ, আমফান, ফণী যেভাবে এই এলাকাগুলিকে ক্ষতি করেছিল তার থেকে শিক্ষা নিয়েই প্রশাসন তৎপর রয়েছে। সমুদ্রতীরবর্তী এলাকা গুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে তৈরি করে রাখা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন