আজই ল্যান্ডফল মিগজাউমের। প্রবল শক্তি বাড়িয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর ও মছলিপত্তনমের মাঝামাঝি বাপাটলে উপকূলে আর কিছু সময়ের মধ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। ল্যান্ডফলের সময় গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার। এদিকে ল্যান্ডফলের একদিন আগে অর্থাৎ সোমবার সারাদিন ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে মিগজাউম। সারাদিন টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ুর একাধিক এলাকা। একটানা ভারী বৃষ্টির ফলে চেন্নাইতে মৃত্যু ৮ জনের।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আপাতত শক্তি বাড়িয়ে মিগজাউম উত্তরের দিকে এগোচ্ছে। পুদুচেরি, তেলেঙ্গানা, ওড়িশাতেও সর্তকবার্তা জানানো হয়েছে। কৃষ্ণা জেলার প্রায় ১২ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা উপকূলে বুধবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা।
অন্যদিকে, এই দুর্যোগের প্রভাবে বাতিল করা হয়েছে দক্ষিন-মধ্য রেলের ১৪৪ টি ট্রেন। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যাত্রাপথ। দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে আর কিছু ট্রেন ঘুরপথে চালানো হবে। ট্রেন লাইন পরীক্ষা করা হয়েছে, বিভিন্ন রেলব্রিজ, বিদ্যুতের খুঁটি এগুলোর ওপরে নজরদারী রাখা হয়েছে। চেন্নাই বিমানবন্দরে জল জমে থাকার কারণে বেশ কিছু বিমানের উড়ান বাতিল করা হয়েছে। জল-বন্দী হয়ে পড়েছেন সেখানকার অসংখ্য মানুষ।
অন্যদিকে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়লেও বাংলায় পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বলে আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ। আজ সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। বজ্র-বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১১ টি জেলায়।
আজ বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া ও কলকাতায়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায়। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হওয়া বইতে পারে উপকূলের জেলাগুলিতে। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। শীতের পথে কার্যত কাঁটা হয়ে উঠেছে ঘূর্ণিঝড়। থমকে শীতের আমেজ। তবে শনিবার থেকে নামতে পারে তাপমাত্রা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন