ডঃ নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যাকান্ডের মূল চক্রী এবং দক্ষিণপন্থী সনাতন সংস্থার পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার পুনের এক বিশেষ আদালত এই ঘোষণা করেছে। আট বছর আগে যুক্তিবাদী ডঃ নরেন্দ্র দাভোলকরের চাঞ্চল্যকর হত্যা সংগঠিত হয়।
দেশের কুসংস্কারবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ৬৭ বছর বয়সী দভোলকরকে ২০ আগস্ট, ২০১৩ সালে দুই অজানা মোটরসাইকেল আরোহী হামলাকারী গুলি করে হত্যা করে। ওইদিন সকালে স্থানীয় ওমকারেশ্বর মন্দির অঞ্চলে তিনি যখন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সেইসময় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ডঃ দাভোলকর মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির পক্ষে এই আন্দোলন চালাতেন।
বিশেষ ইউএপিএ কোর্টের বিশেষ বিচারক এস আর নাভান্দার জানিয়েছেন, অস্ত্র আইনের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধি, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে হত্যা ও সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে।
ডঃ বীরেন্দ্রসিং তাওয়াড়ে, শচীন অন্ধুরে, শারদ কালস্কর এবং বিক্রম ভাবের বিরুদ্ধে আইপিসি এবং ইউএপিএর অধীনে হত্যা, হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হবে। পঞ্চম অভিযুক্ত, আইনজীবী সঞ্জীব পুনালেকর প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগের মুখোমুখি হবেন। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে এবং ওইদিন আসল চার্জ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষ বিচারক নাভান্দার।
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ২০১৪ সালে পুনে পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনেক আগেই চার্জশিট দাখিল করেছে।
২০১৬ সালের জুন মাসে ইএনটি সার্জন তাওয়াডেকে গ্রেপ্তার করার পর, সে বছর সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে এবং দাবি করে যে তিনি দভোলকরকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন।
দু’বছর পর, 2018 সালের আগস্টে, সিবিআই সনাতন সংস্থার আরও দুই কর্মী অন্ধুরে এবং কালাস্কারকে গ্রেপ্তার করে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ তাঁদের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করে। এই দুজনের বিরুদ্ধেই ডঃ দাভোলকরকে গুলি করার অভিযোগ আনা হয়।
২০১৯ সালের মে মাসে, সিবিআই মুম্বাইয়ের আইনজীবী পুনালেকর এবং তাঁর সহযোগী ভাবেকে গ্রেপ্তার করে। এই দুজনেই সনাতন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এবং একই মামলায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
পুনালেকরের বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ এনে বলা হয় তিনিই খুন করার অস্ত্র সহ প্রমাণ লোপাট করেছিলেন। সিবিআই জানিয়েছিলো, দাভোলকর হত্যাকাণ্ড যে জায়গায় সংগঠিত হয় সেখান থেকে আততায়ীদের পালানোর পথ এবং অন্যান্য বিষয়গুলির পরিকল্পনা করেছিল ডাভে।
তাওয়াদে, অন্ধুরে এবং কালস্কর যথাক্রমে পুনে, কোলহাপুর ও মুম্বাই কারাগারে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে আছেন। পুনালেকর এবং ভাভে বর্তমানে জামিনে আছেন।
(Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন