Elephants Death: মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে উদ্ধার সাত হাতির মৃত দেহ, সঙ্কটজনক আরও তিন

People's Reporter: মৃত হাতি গুলিকে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। প্রাথমিক ভাবে বন দফতরের কর্মীদের অনুমান, বিষক্রিয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকী ফাইল ছবি নিউজ অন এয়ারের সৌজন্যে
Published on

মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড়ের জাতীয় উদ্যানে মিলল সাত হাতির মৃত দেহ। সঙ্কটজনক অবস্থা আরও তিন হাতির। আরও দুই হাতির শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। মৃত হাতি গুলিকে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই এই ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিক ভাবে বন দফতরের কর্মীদের অনুমান, বিষক্রিয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

মঙ্গলবার বিকেলে বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের কোর খিতাউলি এলাকায় প্রথমে দুটি হাতির মৃত দেহ উদ্ধার করেন বন দফতরের কর্মীরা। এরপরেই তাঁদের সন্দেহ হলে, পুরো উদ্যানটি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কর্মীরা জানাচ্ছেন, তল্লাশি চালিয়ে জঙ্গলের মধ্য থেকে আরও ছয় হাতিকে সঙ্কটজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় আরও দুই হাতির মৃত দেহ। চিকিৎসা চলাকালীন আরও তিন হাতির মৃত্যু হয়।

বন দফতর সূত্রে খবর, ওই ১২টি হাতি একই পালের। ওই পালে ছিল ১৩ টি হাতি। বাকি হাতির খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের কর্মীরা। খবর পেয়েই বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যানে পৌঁছায় পশুচিকিৎসকদের একটি দল। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্কুল অফ ওয়াইল্ডলাইফ ফরেন্সিক অ্যান্ড হেল্‌থ-এর কর্মীরাও। ইতিমধ্যেই মৃত হাতিদের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকি হাতিদের চিকিৎসা চলছে।

এই বিষয়ে বন দফতরের আধিকারিক বিজয় এন আম্বাদে সংবাদমাধ্যমে জানান, “প্রথমে দু’টি হাতিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলেও পরে সেই সংখ্যা বেড়ে গিয়ে চারে পৌঁছায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষাক্ত কোনও খাদ্য থেকে এমনটা হতে পারে। তদন্ত চলছে। গোটা এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।“

অন্যদিকে, এই নিয়ে বন দফতরের আরেক কর্মী অজয় দুবে জানিয়েছেন, সম্ভবত, হাতিগুলি বনের বাইরে কিছু খাবার খেয়ে নিয়েছিল। সেখান থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাঁর মতে, কৃষকরা সম্ভবত ফসলে কীটনাশক জাতীয় কিছু স্প্রে করেছেন। সেই কীটনাশকযুক্ত ফসল খেয়ে হাতিদের এই অবস্থা মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।

বান্ধবগড় এলাকায় বাঘের মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৪৩টি বাঘ মারা গেছে বান্ধবগড় এবং শাহদোল বনাঞ্চলে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বন আধিকারিকদের গাফিলতি লক্ষ্য করা গেছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in