উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃতদেহ। লখনউয়ের বক্সি কা তালাব কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক যোগেশ শুক্লার হজরতগঞ্জ এলাকার সরকারি ফ্ল্যাট থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে লখনউ পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও আত্মহননের কারণ সম্পর্কে এখনও বিশেষ কিছু জানা যায়নি বলে পূলিশ সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। লখনউ পুলিশ ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মৃত ব্যক্তির নাম শ্রেষ্ঠ তিওয়ারি। উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি জেলার হায়দারগড় এলাকার বাসিন্দা শ্রেষ্ঠ বিজেপি বিধায়ক যোগেশ শুক্লার মিডিয়া টিমের সদস্য ছিলেন। গত বেশ কিছুমাস যাবৎ বিধায়কের সরকারি আবাসনেই থাকছিলেন শ্রেষ্ঠ। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে শ্রেষ্ঠ’র বাড়ির লোক থানায় যোগাযোগ করে জানায়, শ্রেষ্ঠ বাড়িতে ফোন করে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ বিধায়কের আবাসনে ছুটে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায় ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।
পুলিশ জানিয়েছে, একাধিকবার হাঁকডাকের পরও ভিতর থেকে কোনও সাড়া-শব্দ না আসায় পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে এবং শ্রেষ্ঠ’র মৃতদেহ উদ্ধার করে। সেই সময় গোটা আবাসনে আর অন্য কেউই ছিল না । লখনউ পুলিশের ডিএসপি (ডেপুটি সুপারিডেন্ট অফ পুলিশ) অরবিন্দ কুমার বর্মা জানিয়েছেন, “মৃতদেহের আশপাশে কোনও সুইসাইড নোট জাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু আত্মহননের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা করা যাচ্ছে না। সেই সময় আবাসনে আর কেউ উপস্থিতও ছিলেন না। মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, “সুইসাইড নোট জাতীয় কিছু না পাওয়া গেলেও ঘটনাস্থলে মৃতের মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। আপাতত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই ফোনই আমাদের একমাত্র সম্বল। ফোনের সমস্ত তথ্য, সোশ্যাল মিডিয়া খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যদি কোনও সূত্র মেলে।” ঘটনার পিছনে বিজেপি বিধায়কের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে লখনউ পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন