চারধাম যাত্রা শুরুর ১৬ দিনের মধ্যেই ৫২ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে শুধু কেদারনাথেই মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এমনটাই জানা গেছে প্রশাসন সূত্রে। জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে ৪০ জনের বয়স ৫০ বছরের উপরে। প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুর কারণ হিসাবে হার্ট অ্যাটাকই মনে করা হচ্ছে।
গঢ়ওয়ালের প্রশাসনিক আধিকারিক বিনয় শঙ্কর পাণ্ডে জানিয়েছেন, ১৬ দিনে ৫২ পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। কেদারনাথেই মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এছাড়া বদ্রীনাথে ১৪ জন, যমুনোত্রীতে ১২ জন এবং গঙ্গোত্রীতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ওই আধিকারিক আরও জানিয়ছেন, চারধামে আসা পুণ্যার্থীদের নিয়মিত স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে শুরু করে রেজিস্ট্রেশন সব কিছু খতিয়ে দেখার পর তবেই এই যাত্রায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোনো পুণ্যার্থীর সমস্যা ধরা পড়লে তাঁদের যাত্রা করতে নিষেধ করছে প্রশাসন।
গত ১০ মে পুণ্যার্থীর জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে কেদারনাথ, যমুনোত্রী এবং গাঙ্গোত্রী ধামের দরজা। এবং ১২ মে খুলে দেওয়া হয়েছে বদ্রীনাথের দরজা। তবে চারধাম শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। যার ফলে বাড়েছে সমস্যা।
পাণ্ডে আরও জানিয়েছেন, চারধাম যাত্রার শুরুতে একসঙ্গে বিপুল সংখ্যাক পুণ্যার্থী এসে পড়ায় সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু তা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এদের মধ্যে বহু পুণ্যার্থী আছে, যারা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেননি। তাঁদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন