ক্রমশ এগিয়ে আসছে দিল্লির পৌরসভা নির্বাচন। তার আগে বিপাকে আম আদমি পার্টি (AAP)। দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনে আপের টাওয়ারে উঠে পড়লেন প্রাক্তন কাউন্সিলর।
রাজনীতিতে এমন দৃশ্য কার্যত বিরল। মনোয়ন পত্র জমা দিতে ব্যাঘাত ঘটায় আপ নেতা হাসিব-উল-হাসান দিল্লির শাস্ত্রী পার্কের একটি বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন টাওয়ারে উঠে প্রতিবাদ জানান রবিবার। তাঁর অভিযোগ, আম আদমি পার্টির নেতা দুর্গেশ পাঠক ও অতিশী আমার ব্যাঙ্কের পাসবই সহ অন্যান্য আসল নথি জমা নিয়ে রেখে দিয়েছেন। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন সোমবার। ওই নথি না পেলে আমি নির্বাচনে লড়াই করতে পারব না। আর এখান থেকে যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে ওই দুই নেতাই দায়ী থাকবেন।
এই ঘটনার পরই স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নিজের সমস্ত নথি ফেরত পান। টাওয়ার থেকে নেমে এসে হাসান বলেন, মিডিয়ার চাপে পড়েই আপ নেতারা তাঁর নথি ফেরত দিয়েছেন। তিনি এও অভিযোগ করেন, আমার কাছে টাকা চাওয়া হয়েছিল নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি টাকা দেবো না বলেই দিয়েছিলাম। আমি আমার মনোনয়ন জমা করবই। প্রয়োজনে নির্দল থেকেই ভোটে লড়ব।
দলীয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসিব-উল-হাসান একজন পরিশ্রমী পার্টিকর্মী। তাই নির্বাচনে টিকিট না মেলায় স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মন খারাপ ছিল। কিন্তু সকলকে বুঝতে হবে যে লাখ লাখ কর্মীর মধ্যে মাত্র ২৫০জনকেই কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টিকিট দেওয়া হবে। রাজনীতিতে নির্বাচনই শেষ কথা নয়। নির্বাচনের বাইরেও অনেক কাজ থাকে। যদিও বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন কাউন্সিলরের নথি প্রসঙ্গে কোনো শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ খোলেননি।
উল্লেখ্য, আপের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, যাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক তাঁদেরকে নিজেদের নথি দলীয় কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। সকল নথি বিবেচনা করে টিকিট দেওয়া হবে। হাসানও এই নির্দেশ পালন করেছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন