আগামী মাসের ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর দেশের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বসবে জি-২০ সম্মেলন। তার জন্য ওই তিন দিন সরকারী ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ওই তিন দিন শহরের সমস্ত স্কুল, কলেজ ও দিল্লি পুরসভা-সহ সমস্ত সরকারী দফতর বন্ধ রাখার ফরমান জারি করেছে দিল্লি প্রশাসন। এছাড়াও ওই তিন দিন শহরের সাধারণ মানুষের চলাফেরাতেও জারি করা হচ্ছে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা।
গোটা ২০২৩ সাল জুড়েই ভারতের বিভিন্ন শহরে দফায় দফায় বসছে জি-২০ সম্মেলনের বৈঠক। আগামী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানী নয়াদিল্লিতে বসবে এই বৈঠক। সেই নিয়েই জোরকদমে প্রস্তুতি সারছে দিল্লি প্রশাসন। সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনরা যাতে শহরের কোথাও বিশাল ট্রাফিক ঝঞ্ঝাটের সম্মুখীন না হন, সে জন্য শহরের রাস্তায় যান চলাচল কমাতে চাইছে প্রশাসন। তাই ওই তিন দিন সরকারীভাবে ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শহরের সমস্ত স্কুলগুলিকে এই পরিপ্রেক্ষিতে ছুটি ঘোষণা করার নির্দেশিকা দিয়ে দিয়েছে শিক্ষা দফতর।
সম্মেলনের মূল অনুষ্ঠান রয়েছে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের ২৯টি রাজ্যের প্রতিনিধি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশ থেকে আমন্ত্রিত অতিথি ও ১৪টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের নেতারা। দিল্লি-এনসিআরের বেশ কয়েকটি পাঁচতারা হোটেলে সেইসব বিশিষ্ট অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে মূল অনুষ্ঠানের আগে ৮ সেপ্টেম্বরেই তাঁরা শহরে চলে আসবেন।
বৈঠকের আগের দিন বিশিষ্টজনরা প্রগতি ময়দানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তাঁদের স্ত্রীদেরও পুসা রোড ও ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মর্ডান আর্ট ঘোরানো হবে। এরপর সস্ত্রীক বিশিষ্টদের শহরের বিভিন্ন আকর্ষণীয় ও দ্রষ্টব্য স্থান ঘোরানোর ব্যবস্থাও থাকবে। এই সময়টায় চাঁদনী চক, খান মার্কেট, দিল্লি হাট, মালচা মার্গ মার্কেট, কনড প্লেস-সহ শহরের একাধিক জায়গায় কড়া পুলিশি টহলদারি ও নজরদারি রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারী নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন