রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত কৃষকদের সাথে কেন্দ্র সরকারের চতুর্থ দফার বৈঠক হয়। এরপর সোমবার কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের জানান, তারা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে (এমএসপি) পাঁচটি ফসল কেনার গ্যারান্টি দেওয়ার কেন্দ্রের প্রস্তাব এবং 'দিল্লি চলো' অভিযানের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত কৃষকেরা পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমান্তে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করবে বলেই জানা গেছে।
সোমবার কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে জানান, "আমাদের দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছি। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দিল্লির দিকে এগিয়ে যাব। ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কেন্দ্রের সামনে আমাদের পয়েন্ট তুলে ধরার চেষ্টা করব।”
সোমবার ভোরে কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের চতুর্থ দফা আলোচনা শেষ হয়। এরপর সারওয়ান জানান, “আমরা কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাবগুলি নিয়ে আলোচনা করব, তাদের মতামত নেব।"
কেন্দ্র যে ফসলগুলিকে নিশ্চিত এমএসপিতে কেনার প্রস্তাব করেছে তার মধ্যে রয়েছে তিনটি ডাল - অড়হর, তুর, উরদ। এছাড়াও আছে তুলা এবং ভুট্টা। প্রস্তাব করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সংস্থা যেমন NCCF, NAFED এবং কটন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কেনার জন্য পাঁচ বছরের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের বৈঠকের পরে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলার সময় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেন, যদি এই ফসলের জন্য এমএসপি দেওয়া হয়, তবে পাঞ্জাব ডাল উৎপাদনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে। তিনি আরও জানান, এটি দেশের দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের কৃষকরা তুলা এবং ভুট্টা ফলন করতে পারে যদি তারা এই ফসলের যথাযথ এমএসপি পায়। তিনি বলেন, এই ফসলের নিশ্চিত বিপণন কৃষকদের শস্য বৈচিত্র্যের জন্য উৎসাহিত করতে পারে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী জানান, দেশ আজ অন্য দেশ থেকে ডাল আমদানি করে, যেখানে ভারতের কৃষকরা যদি লাভজনক দাম পায় তবে তারা এখানে এই ডাল উৎপাদন করতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন